ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: এ যাবৎ রাজ্য সরকার যা যা সরকারী স্কিম চালু করেছে, তার মধ্যে অন্যতম এবং বিশেষ জনপ্রিয় স্কিম হল ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’। আর এই স্কিম বা সরকারী প্রকল্পকে সামনে রেখে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রচার চালিয়েছিল শাসকদলের একাংশ। বহু জায়গায় এই প্রকল্প নিয়ে নানা কথাবলতে শোনা গিয়েছিল রাজ্যের শাসক দলের নেতা- নেত্রীদের। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আগে যেখানে রাজ্যের সাধারণ শ্রেণী অর্থাৎ জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হত, এখন সেখানে তাঁদের প্রতি মাসে পান ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলারা প্রতিমাসে ১০০০ টাকার পরিবর্তে দেওয়া হয় ১২০০ টাকা। তবে এবার পুজোর আগে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প বন্ধের আভাস পাওয়া গিয়েছে।
পুজোর অনুদান ফেরৎ কমিটির পক্ষ থেকে
ইতিমধ্যেই আরজি কর কাণ্ডে রাজ্য রাজনীতি একেবারে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে। ক্রমেই বেড়ে চলেছে সাধারণ মানুষ এবং চিকিৎসকদের আন্দোলনের ঝাঁঝ। বেশ ক্ষিপ্ত প্রশাসনের বিরুদ্ধে। সেই কারণে পুজোর আগে একের পর এক পুজো কমিটি রাজ্য সরকারের দেওয়া পুজোর অনুদান ফিরিয়ে দিচ্ছে। শুধু তাই নয় বেশ কয়েকজন নামকরা শিল্পীও ফেরৎ দিয়ে দিচ্ছেন তাঁদের সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া সম্মান। দাবি একটাই যতদিন না তিলোত্তমার সঠিক বিচার পাচ্ছে ধর্ষণকারীদের শাস্তি হচ্ছে ততদিন এই প্রত্যাখান পর্ব চলবে। এই আবহে গত সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক বড় সিদ্ধান্ত নিলেন।
বন্ধ হতে চলেছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প?
তিনি এদিন ঘোষণা করেন, যে সকল দুর্গাপুজোর কমিটি দুর্গাপুজোর অনুদান নিতে চান না, তাদেরকে আর অনুদান দেওয়া হবে না। সেই টাকা অন্য পুজো কমিটিকে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই অনেক পুজো কমিটির তরফে অনুদানের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তাদের অনেককে দেওয়া হবে। অন্যদিকে উঠে আসছে পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার প্রসঙ্গ। জানা গিয়েছে গত ৫ সেপ্টেম্বর দেওয়া হয়নি ট্যাব কেনার টাকা। আর তখন জল্পনা শুরু হয়েছিল, যে তবে কি এবার থেকে ট্যাবের টাকা বন্ধ করে দেবে রাজ্য সরকার? শুধু তাই নয় অনেকেই আরজি কর কাণ্ডের ঘটনার পর রাজ্য সরকারের দেওয়া লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা না নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন। তবে কি সেই প্রকল্পও এবার বিলুপ্তির পথে?
আরও পড়ুনঃ এক টিকিটে সফর করুন ১২ ঘণ্টা অবধি, পুজোয় যাত্রীদের বড় উপহার কলকাতা মেট্রোর
তবে না সেই আশঙ্কা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার যেমন চলছে, তেমনই চলবে। যে ভাবে জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলারা প্রতি মাসে ১০০০ টাকা ও তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা মাসে ১২০০ টাকা দেওয়া হচ্ছিল সেভাবেই এই টাকা দেওয়া হবে। এবং ট্যাবের টাকাও পাঠিয়ে দেওয়া হবে।