ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হল বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প। এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ জন্য রাশিয়া থেকে প্রায় ১২.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ নিয়েছিল। প্রকল্পের ৯০ শতাংশ টাকা রাশিয়া থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া হয় বাংলাদেশের তরফে। এর মাধ্যমে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণকাজ এগিয়ে চলছে।
তবে সরকার বদলের পর এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে গলার কাঁটা হয়ে রয়ে গেছে। কারণ, সম্প্রতি রাশিয়া বাংলাদেশ সরকারের কাছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য দেওয়া ঋণের সুদ বাবদ ৬৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার শোধের করার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। এই সুদের টাকা পরিশোধের জন্য রাশিয়া বাংলাদেশকে ১৫ সেপ্টেম্বরের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। সংবাদমাধ্যম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
বকেয়া সুদ দিতে অর্থনৈতিক চাপের মুখে বাংলাদেশ
রাশিয়া থেকে পাওয়া ঋণের সুদ এবং বকেয়া বাবদ বাংলাদেশের এখনও পর্যন্ত ৬৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বকেয়া রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনিতেই বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক চাপে রয়েছে। এদিকে আবার দেশে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও নিচের দিকে নেমে আসছে। তাই এই বিপুল টাকার ঋণ পরিশোধ এখন বাংলাদেশ সরকারের কাছে রীতিমতো একটা চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে।
ঋণ শোধের বিষয়ে নীরব বাংলাদেশ সরকার
এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের তরফে এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি সামনে আসেনি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঋণ পরিশোধ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা এবং রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক সমঝোতার প্রয়োজন হতে পারে। বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকরা বর্তমানে একটি কার্যকর সমাধানের জন্য কাজ করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে বকেয়া পরিশোধ না করলে কি হবে?
রাশিয়া থেকে পাঠানো চিঠি এবং ১৫ সেপ্টেম্বরের সময়সীমা বাংলাদেশকে একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছে। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, এই ধরনের আন্তর্জাতিক ঋণের সুদ পরিশোধে বিলম্ব হলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর প্রভাব পড়তে পারে এবং ভবিষ্যতে ঋণ পাওয়া আরো কঠিন হতে পারে। একই সঙ্গে, এই ধরনের সুদ পরিশোধে দেরি করলে আর্থিক জরিমানা বা চুক্তির শর্তাবলীর পরিবর্তন হতে পারে।