ভারতের পর থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় চিনা পণ্য বয়কটের ডাক! কোণঠাসা বেজিং

Published on:

boycott china

ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ কথায় বলে, ‘মেড ইন চায়না, বেশিদিন যায়না’। এই কথাটা পুরোপুরি সত্যি না হলেও চিনের সস্তা প্রোডাক্ট কেনার আগে সেগুলির উপর ভরসা খুব কম মানুষই করতে পারে। কিন্তু তা সত্ত্বেও চুটিয়ে বিক্রি হয় এইসব চিনা পণ্য। তবে শুধু ভারত নয়, চিন থেকে আসা সস্তা পণ্যে আজকাল ছেয়ে গেছে গোটা বিশ্ব। সম্প্রতি, এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির অন্দরে চিনা পণ্য বন্ধ করার দাবিতে সোচ্চার হতে শুরু করেছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।

বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশিরভাগ দেশের বাজারগুলি চিন থেকে আসা সস্তা পণ্যে ভরে যাচ্ছে। এই কারণে স্থানীয় শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছে। আর সেই কারণে এবার চিনের তৈরি জিনিস দেশে আসা বন্ধ করে দিতে চাইছে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার মতো ক্ষুদ্র দেশের ব্যবসায়ীরা।

WhatsApp Community Join Now

সস্তা চিনা পণ্যের কারণে কর্মহীন হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ

বেশ কিছু তথ্য অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, গত কয়েক বছরে থাইল্যান্ডের উত্তর ল্যাম্পাং প্রদেশের অর্ধেক সিরামিক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। একইসঙ্গে, ইন্দোনেশিয়ায় হাজার হাজার টেক্সটাইল কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে লাখ লাখ শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। এদিকে সস্তায় চিনা পণ্যের কারণে মালয়েশিয়ার ছোট দোকানদারদের সর্বনাশ হয়েছে। কারণ, এই তিন দেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার চিন। তবে এবার চিনের প্রতি বিদ্বেষ দেখা যাচ্ছে এই তিন দেশেই।

গত ২ দশকে কিভাবে বিশ্বের বাজারে রাজ করছে চিন?

চিন গত দুই দশক ধরে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে স্পষ্ট হয়েছে চিনের নাম। চিনের নাগরিকরা ঘরে ঘরে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন শুরু করেছেন। এই কারণেই তার কাছে পণ্য তৈরি করা সস্তা হয়ে উঠছে। আর সেই কারণে সারা বিশ্বের বাজারে এই সস্তা পণ্যগুলি বিপুল বিক্রি হচ্ছে। এই কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের দ্বারা গড়ে তোলা অনেক ব্যবসা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

দেশীয় কোম্পানিগুলিকে গ্রাস করছে চিন

একইভাবে, টেক্সটাইল, প্রসাধনী, লজিস্টিকস, ইলেকট্রনিক্স এবং রান্নাঘরের সামগ্রীতে, চিনা কোম্পানিগুলি এতটাই প্রভাবশালী হয়ে উঠছে যে, সেগুলি স্থানীয় কোম্পানিগুলিকে প্রতিযোগিতা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। কারণ চিনের বড় বড় বিনিয়োগকারীরা এইসব দেশীয় কোম্পানিগুলিকে কিনে নিচ্ছে। এখন কিছু থাই গ্রাহক এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। চিন দেশের পণ্য বয়কটের দাবি উঠতে শুরু করেছে সেই দেশে।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন