‘ইন্ডিয়া আউট অতীত’, দেশ বাঁচাতে ভারতেরই শরণাপন্ন মইজ্জু! দিল্লি আসছেন মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি

Published on:

mohamed muizzu

ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ বাংলায় একটি জনপ্রিয় বাগধারা আছে, আর সেটা হল ‘ঠেলার নাম বাবাজি।’ বর্তমানে মলদ্বীপের এমনই দশা হয়েছে বলে মনে করছে বিশিষ্ট মহল। চিনপন্থী মোহাম্মদ মুইজ্জু সরকার যত সময়ে এগোচ্ছে ততই যেন নানা রকম ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিপাকে পড়ছে। সবথেকে বড় কথা, দেশের অর্থনীতি অবস্থাও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।বিনিয়োগকারীরা অবধি একে একে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ফলে এবার চাপে পড়ে ভারতের দ্বারস্থ হচ্ছে এই দ্বীপরাষ্ট্রটি। দীর্ঘ কয়েক মাসের টানাপোড়েনের পর মলদ্বীপ এখন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, এবার ভারতে আসছেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। তিনি সরকারি সফরে নয়াদিল্লি আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু বলা হয়নি।

ভারতের পথে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট?

সত্যিই কি ভারতে আসছেন মইজ্জু? এই নিয়ে জোর তরজা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মূলত কোন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তা এই মুহূর্তে স্পষ্ট নয়। একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে ভারতে আসার কথা মইজ্জুর। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র হিনা ওয়ালিদ বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট খুব শীঘ্রই ভারতে যাবেন। আপনারা জানেন, দুই দেশের নেতাদের সুবিধা অনুযায়ী এ ধরনের সফরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ নিয়ে আলোচনা চলছে।’

WhatsApp Community Join Now

ভারত-মলদ্বীপ দ্বন্দ্ব!

বিশেষ বিষয় হ’ল এই বৈঠক এমন সময় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে যখন কিছুদিন আগে ভারত ও মলদ্বীপ নয়াদিল্লিতে প্রতিরক্ষা বিষয়ে আলোচনা করেছে। উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে ভারত তাদের ৮০ জন সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়। ১০ মার্চ থেকে ১০ মে’র মধ্যে এই প্রক্রিয়া চলে। বিশেষ বিষয় হলো, চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত মইজ্জু মলদ্বীপে ‘ইন্ডিয়া আউট’ ইস্যুতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। জয়ের পরপরই তিনি ভারতের কাছে সেনা সদস্যদের প্রত্যাহারের দাবি জানান। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালের চুক্তি নবায়ন করতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছিল মলদ্বীপ।

এরপরই কফিনে শেষ পেরেক তখন পড়ে যখন প্রধানমন্ত্রী মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফর নিয়ে মইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রীর মন্তব্য করেন। এক নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। এমনকি মুইজ্জুর ভারত সফরের আগে মলদ্বীপের মিনিস্টার যিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অপমান করেছিলেন, তিনিও পদত্যাগ করেছেন। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, চিনকে দূরে সরিয়ে এখন ভারতের সখ্যতা চাইছে ডুবতে বসা মলদ্বীপ।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন