ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: রাজ্যের সকল সাধারণ মানুষের কম খরচায় সুচিকিৎসা প্রদান করতে রাজ্য সরকার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এর ব্যবস্থা করেছে। যার মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল এবং বেসরকারি হাসপাতালে রাজ্যের মানুষ বিনা পয়সায় চিকিৎসা করাতে পারবে। তবে বিগত বেশ কয়েকবার বেসরকারি হাসপাতালগুলির আচরণ বিধি নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে আবার আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ঘোষণা বেশ চাপে ফেলেছে প্রশাসনকে। ফলস্বরূপ প্রশ্ন উঠছে তবে কি এবার রোগী সুরক্ষায় বেসরকারি হাসপাতালকে বেশি প্রাধান্য দিতে চলেছে রাজ্য সরকার?
গতকাল অর্থাৎ বুধবার নবান্নে শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যা পূর্ব নির্ধারিত ছিল। দীর্ঘক্ষণ বৈঠকের পর শেষে মুখ্য সচিব ও রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে আলাদা করে ডেকে নেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেখানেই বেসরকারি হাসপাতালের বিষয়ে কী কী নির্দেশ দিতে হবে তা পরিষ্কার জানিয়ে দেন তিনি। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে খুব শীঘ্রই বেসরকারি হাসপাতালের কর্তাদের নবান্নে বৈঠকে ডাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্পূর্ণ সুযোগ নিচ্ছে বেসরকারি হাসপাতাল!
রাজ্য সরকার এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতির অবস্থান এর দুর্যোগ এখনও কাটেনি। গতকাল সন্ধ্যায় আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। ফলস্বরূপ সন্ধে ছটায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল জুনিয়র ডাক্তারদের। কিন্তু তার আগেই মুখ্যসচিবকে পাল্টা মেইল পাঠলেন আন্দোলনকারীরা। এর ফলে রাজ্য ও জুনিয়র ডাক্তারদের সংঘাত এর আকার আরও তীব্র হয়েছে। যার সম্পূর্ণ সুযোগ নিচ্ছে বেসরকারি হাসপাতাল। কোথাও কোথাও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও হাসপাতালগুলির ফি কাঠামো, রোগীদের সঙ্গে আচরণ বিধি নিয়েও বিক্ষিপ্ত ভাবে অভিযোগ উঠে আসছে।
টালা থানার ওসিকে ফিরিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী
কিছুদিন আগেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা দেওয়ার প্রবণতা এবং ব্যবস্থার উন্নতিই হয়েছিল বেসরকারী হাসপাতালে। কিন্তু এই কদিন বেগতিক দেখা যাচ্ছে। তাদের সতর্ক হতে বলছে সরকার। শুধু তা নয়, আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি টালা থানার ওসিকে ছয়টি বেসরকারি হাসপাতাল ফিরিয়ে দেয়। এদিন টালা থানার ওসির নাম মুখে না আনলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একজন পুলিশ অফিসারকে চারটি বেসরকারি হাসপাতাল ফিরিয়ে দিল কীভাবে? এত সাহস পায় কোথা থেকে? তাই সরকার সে সব নিয়েও বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে কথা বলতে চায়। এছাড়াও বেসরকারি হাসপাতালের অভাব অভিযোগের কথাও শুনতেও সমান ভাবে আগ্রহী থাকবে সরকার।