২০২৫-র আগে কেন সুনীতা উইলিয়ামসকে পৃথিবীতে ফেরানো সম্ভব নয়? কারণ জানাল NASA

Published on:

sunita williams nasa space

ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ কয়েকদিন আগেই পৃথিবীতে ফিরে এসেছে Boeing’s Starliner মহাকাশযান। এই নভোযানে চড়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশ বিজ্ঞানী সুনীতা উইলিয়ামস এবং মার্কিন বিজ্ঞানী ব্যারি বুচ উইলমোর। তবে যাওয়ার সময় মহাকাশযানে ত্রুটি থাকায় তাঁরা এখনো পৃথিবীতে ফিরতে পারেননি। এই দুই বিজ্ঞানী আটকে পড়েছেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে।

NASA জানিয়েছে যে ২০২৫ সালের আগে সুনীতা উইলিয়ামস এবং ব্যারি উইলমোরকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। এর নেপথ্যে যদিও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। তবে শীঘ্রই যে এই দুই বিজ্ঞানীকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিশ্চিত করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA এবং বাণিজ্যিক মহাকাশ সংস্থা SpaceX।

WhatsApp Community Join Now

কেন আপাতত মহাকাশে আটকে থাকতে হবে সুনীতা ও ব্যারিকে?

NASA-র মহাকাশ মিশনগুলি অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী পরিচালিত হয়। এছাড়াও ISS-এ ক্রু সদস্যদের রোটেশন বা পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাধারণত, মহাকাশচারীরা ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত ISS-এ থাকেন। বর্তমানে আরো দুজন বিজ্ঞানী রয়েছেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে। তাঁদের কাজ সম্পূর্ন হতে আর কয়েকমাস বাকি বলে জানা গিয়েছে। এই দুই বিজ্ঞানীর সঙ্গেই ২০২৫ সালে সুনীতা উইলিয়ামস এবং ব্যারি বুচ উইলমোরকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে NASA।

২০২৫ সালে সুনীতা ও ব্যারিকে ফেরানোর জন্য নতুন মিশন

২০২৫ সালে NASA পরিকল্পনা করছে সুনীতা উইলিয়ামস এবং ব্যারি উইলমোরকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য। এই প্রক্রিয়াটি সাধারণত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক মহাকাশযান ব্যবহার করে সম্পন্ন হয়। যার মধ্যে SpaceX-এর Crew Dragon বা Boeing-এর CST-100 Starliner অন্যতম প্রধান।

কিভাবে ISS থেকে পৃথিবীতে ফিরবেন দুই বিজ্ঞানী?

একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতির মাধ্যমে মহাকাশচারীদের আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয়। এর প্রথম ধাপ হল ডি-অরবিট বার্ন। এরপর রয়েছে রি-এন্ট্রি ধাপ। শেষমেষ প্যারাশুট দিয়ে অবতরণ হয়। এই পুরো প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট এবং স্বয়ংক্রিয়, যেখানে মহাকাশচারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। যেমন মাল্টিপল প্যারাশুট সিস্টেম যাতে ইমার্জেন্সির সময় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এছাড়াও প্রেশার স্যুট যা মহাকাশচারীদের অত্যন্ত নিম্ন চাপযুক্ত বা অক্সিজেনহীন পরিবেশে রক্ষা করতে সক্ষম। পাশাপাশি, অটোমেটেড ফ্লাইট সিস্টেম যা প্রয়োজনীয় সময় নিজেই মহাকাশযানকে নিয়ন্ত্রণ করে।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন