২৫৫ বছরের ইতিহাসে প্রথম, প্রাচীন বটবৃক্ষের তকমা হারাল বোটানিক্যাল গার্ডেন

Published on:

howrah botanical garden banyan tree

ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ ভারত ঐতিহাসিক ঐতিহ্য এবং আশ্চর্যজনক প্রাকৃতিক সম্পদে পূর্ণ একটি দেশ। লালকেল্লা থেকে তাজমহল পর্যন্ত ভারতের বহু ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। বর্তমানে এমন কোনও দেশ হয়তো বাকি নেই যেখানে ভারতকে নিয়ে আলোচনা হয় না। ভারতের সংস্কৃতি, কিছু কিছু নিদর্শন বরাবরই সকলের কাছে চিত্তাকর্ষক হয়ে থাকে। কিন্ত আজ কথা কলকাতার হাওড়া শহরের শিবপুরে আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেনে থাকা বিশাল বটগাছ নিয়ে। বিশালাকার বটগাছটি ২৫৫ বছরের পুরনো এবং ৫ একর জমি জুড়ে বিস্তৃত। তবে এবার এই বটবৃক্ষকে ঘিরে এমন এক খবর প্রকাশ্যে এল যা শুনলে আপনারও হয়তো মন খারাপ হয়ে যেতে পারে।

‘বৃহৎ’ বটগাছের তকমা হারাল বাংলা

এই বটবৃক্ষকে কলকাতার প্রাচীনতম নাগরিকও বলা হয়। বোটানিক্যাল গার্ডেনে এই গাছ দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন। এটি কলকাতার পর্যটকদের জন্য অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। বিশেষ করে যারা একটু প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে পছন্দ করে থাকেন তাদের কাছে এই বোটানিক্যাল গার্ডেনের মাহাত্ম্যই আলাদা। এই বোটানিক্যাল গার্ডেনেই এতদিন ছিল পৃথিবীর বৃহত্তম বটগাছ। হ্যাঁ এখন ‘ছিল’-ই বলতে হবে, কারণ এবার এই পৃথিবীর বৃহত্তম গ্রেট ব্যানিয়ন ট্রি বা বৃহৎ বটবৃক্ষের তকমা হারালো বাংলা। যে কারণে বেজায় মন খারাপ সকলের।

WhatsApp Community Join Now

আসরে প্রশাসন

হাওড়া তথা সমগ্র বাংলার বছরের পর বছর ধরে এই বটবৃক্ষ গৌরব বাড়িয়ে চলেছে। ১৯৮৪ সালে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এই বট গাছটিকে। যদিও এই বৃহৎ তকমাটা আর বাংলার মুকুটে নেই। সেই মুকুট এখন ছিনিয়ে নিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের অনন্তপুর জেলার থিন্নাম্মাপুরে অবস্থিত একটি দৈত্যাকার বটগাছ। এই বিষয়ে হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেন উদ্যানের আধিকারিক ড. দেবেন্দ্র সিং বলেন, ‘আয়তনের ওপর ভিত্তি করে ১৯৮৪ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রায় ২৫০ বছরের পুরনো ‘দ্য গ্রেট ব্যানিয়ন ট্রি’ হিসাবে যে মুকুটটি দেওয়া হয়েছিল, তা এখন আর নেই। তা ছিনিয়ে নিয়েছে অন্ধ্র রাজ্যের বিশাল এক বটগাছ। তবে এটি শুধুমাত্র আয়তনের দিক থেকে, যেখানে আমরা যদি তাদের শাখাগুলি দেখি তবে এই পার্কের বিশাল বাট গাছটির ৫০০০ এর বেশি শাখা রয়েছে।’ যদিও এই মুকুটটি ফের বাংলাকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয় তা নিয়ে আবেদন জানানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ড. দেবেন্দ্র সিং।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন