ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গত ৯ আগস্ট রাতে আরজি কর মেডিক্যালের ঘটনা কাণ্ডে ১০ আগস্ট ASI অনুপ দত্তের ঘনিষ্ঠ সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। তারপর ঘটনার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তের ভার চলে যায় CBI এর হাতে চলে যায়। যার দরুন ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারও কেন্দ্রীয় এজেন্সির হেফাজতে যায়। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কলকাতা পুলিশের হেফাজতে থাকার সময় আরজি কর কাণ্ডের ঘটনাটি সঞ্জয় কবুল করেছে বলে দাবি করেছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু CBI হেফাজতে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে সে।
CBI সূত্রে জানা গিয়েছিল যে সঞ্জয় সেমিনার রুমে ঢোকার আগে থেকেই ঘটনাস্থলে পড়ে ছিল ওই তরুণীর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ। দুই বয়ানে আলাদা আলাদা কথা বলায় শেষে সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নেয় CBI। সেই পরীক্ষায় সম্মতিও দিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার জানা যাচ্ছে ধৃত অভিযুক্ত সঞ্জয়কে নারকো অ্যানালিসিস টেস্ট করাতে চায় CBI। যার ফলে এবার আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের তদন্তে একটা বড় মোড় আসতে চলেছে।
আদালতে নার্কো পরীক্ষার অনুমতির আবেদন CBI-র!
ইতিমধ্যেই ধৃত অভিযুক্ত সঞ্জয়ের নার্কো পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। একবার অনুমতি মিললেই নার্কো পরীক্ষা করানো হবে অভিযুক্তের। নিয়ম অনুসারে নারকো অ্যানালিসিস পরীক্ষা করতে হলে আদালতের অনুমতির পাশাপাশি অভিযুক্তের একটি শারীরিক পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। যার মাধ্যমে জানা যায় অভিযুক্ত নারকো অ্যানালিসিস পরীক্ষার যোগ্য কি না। যদি ছাড়পত্র মেলে তবেই এর পরীক্ষা করানো হয়ে থাকে।
সঞ্জয়ের টিথ ইম্প্রেশন সংগ্রহ করল CBI
জানা গিয়েছে এই পরীক্ষায় ব্যক্তির ওজন এবং শারীরিক মাপকাঠি অনুসারে তার দেহে নির্দিষ্ট পরিমাণে অ্যালকোহল প্রবেশ করানো হয়ে থাকে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর নির্দেশ অনুযায়ী। তখন অ্যালকোহলের প্রভাবে ওই ব্যক্তি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ায় আর সে মিথ্যে কথা বলতে পারে না। এদিকে গতকাল প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে সঞ্জয়ের টিথ ইম্প্রেশন সংগ্রহ করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। নির্যাতিতার গালে যে কামড়ের দাগ পাওয়া গিয়েছে, তা সঞ্জয়ের কিনা নিশ্চিত হওয়ার জন্যই নমুনা পরীক্ষা করতে চায় CBI।