ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: কলকাতায় আরজি কর কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। গোটা রাজ্য সহ দেশ জুড়ে চলছে মিছিল, বিক্ষোভ। রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতির ডাক দিয়ে টানা বিক্ষোভের মিছিলে যোগদান করে চলেছে। দোষীর শাস্তির পাশাপাশি ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিও তোলা হয়েছে। আর এই আবহেই এবার হাসপাতালের অন্দরে স্বাস্থ্যকর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠে এল চিকিৎসকদের উপরে।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, বিহারের গঙ্গাপুরের আরবিএস হেলথ কেয়ার সেন্টারে নার্স হিসেবে কাজ করেন ওই মহিলা। গত বুধবার মত্ত অবস্থায় সেই নার্সকে শারীরিক নির্যাতনের জন্য চড়াও হয় ওই একই হাসপাতালের অন্যতম প্রশাসক ও চিকিৎসক সঞ্জয় কুমার এবং তার দুই সহযোগী সুনীল কুমার গুপ্তা ও অবধেশ কুমার। নার্সের অভিযোগ, সঞ্জয় দলবল নিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। নিজেকে এই নারকীয় যন্ত্রণা থেকে বাঁচাতে হাতের সামনে থাকা একটি ব্লেড দিয়েই সঞ্জয়ের যৌনাঙ্গ আঘাত করেন ওই নার্স। এবং সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। কোনরকমে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে একটি মাঠে আশ্রয় নেন তিনি এবং সেখান থেকেই ফোন করেন পুলিশে অভিযোগ জানান তিনি।
ব্লেড দিয়ে যৌনাঙ্গ আঘাত করেন নার্স
অভিযোগ জানানোর পর পরেই অল্প সময়ের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আগে তাঁর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে এবং পরে হাসপাতাল থেকেই ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ঘটনাস্থল থেকে মদের বোতল, নার্সের ব্যবহার করা ব্লেড, রক্তমাখা কাপড় ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে বিহারে মদ নিষিদ্ধ থাকার কারণে ধর্ষণের চেষ্টার পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে মদ খাওয়ার অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
এছাড়াও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই তিনজন চিকিৎসক এই কুকর্ম করার আগে হাসপাতালের সমস্ত CCTV বন্ধ করে দেয়। অর্থাৎ এই ঘটনা ঘটানোর আগে অনেকদিন থেকেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। পুলিশের ডেপুটি সুপার জানিয়েছেন নার্সের সাহস, মনের জোর এবং উপস্থিত বুদ্ধির জন্য এই পরিস্থিতি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছেন নির্যাতিতা নার্স।