ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েও যেন শেষ মুহূর্তে বৈঠক হচ্ছে না। গত বৃহস্পতিবার, জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে মমতার নবান্নে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নবান্নে সেই বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং এর দাবি প্রশাসন না মেনে নেওয়ায় শেষপর্যন্ত নবান্নের সভাঘরে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হয় নি। লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবিতে অনড় ছিলেন আন্দোলনকারীরা।
পরে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি জানিয়েছিলেন,’ ৪:৪৫ থেকে ৭টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। কিন্তু বৈঠকের জন্য কেউ এগিয়ে আসল না। আমরা বলেছিলাম, খোলামনে আলোচনা করুন। কথা বলতে বলতে পাঁচটা নতুন কথা সংযোজন হতে পারে। পাঁচটা পুরনো কথা চলে যেতে পারে। কথা বললে সমাধান হয়’। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘ আসলে এই আন্দোলনের পিছনে রাজনীতির রং রয়েছে। সেখানে জুনিয়র ডাক্তারদের বাইরে থেকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে যে বৈঠকে যাবেন না। আশা করি মানুষ বুঝতে পারছেন, ওরা বিচার চায় না, ওরা চায় চেয়ার। তবে আমি সাধারণ মানুষের স্বার্থে পদত্যাগ করতেও রাজি আছি, দরকার নেই আমার চেয়ারের।’ আর এই মন্তব্যকে ঘিরেই শুরু হয়ে গেল তুমুল শোরগোল।
রাজ্যে অস্থায়ী সরকার গঠন!
আর সেখানেই প্রশ্ন উঠছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যদি পদত্যাগ করে, তাহলে এর পরবর্তী পরিস্থিতি কী হবে বঙ্গে। তবে কি আবার নতুন করে নির্বাচন শুরু হবে। জানা যাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি পদত্যাগ করতে চান, তাহলে তাঁকে লিখিত পত্র দিতে হবে রাজ্যপালকে। সেক্ষেত্রে রাজ্যপাল সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার পর যদি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের আবেদন পত্র গ্রহণ করেন তাহলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। ফলস্বরূপ যতক্ষণ না নতুন সরকার গঠন করা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করতে পারেন। তখন একটি অস্থায়ী সরকার স্থাপন হবে বঙ্গে। আর এই অস্থায়ী সরকার এর ফলে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বা নতুন আইন পাস করা যাবে না।
রাষ্ট্রপতি শাসন বঙ্গে!
পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের পর পরই তৃণমূল কংগ্রেস এর একজন নতুন নেতা নির্বাচন করার জন্য একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হবে। সম্ভবত সেই বৈঠকে উঠে আসবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর নাম। যার ফলে বিধানসভায় শক্তিশালী সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় থাকবে। এছাড়াও রাজ্যপাল নিজে থেকে একটি নতুন নেতা নির্বাচন করে আবার সরকার গঠনের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। কিন্তু যদি এই দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে ব্যর্থ হয়, তবে রাজ্যপাল বিরোধী দলকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানাতে পারে। এমনকি রাষ্ট্রপতির শাসনের সম্ভাবনাও হতে পারে।