দেবপ্রসাদ মুখার্জীঃ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জীবনযাত্রা সবসময়ই সাধারণ, সুশৃঙ্খল এবং কর্ম-কেন্দ্রিক। তিনি নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে অত্যন্ত সরল এবং নিয়মমাফিকভাবে পরিচালনা করেন। মোদি ভারতের এক অন্যতম প্রভাবশালী নেতা হলেও তার জীবনযাত্রায় আভিজাত্যের চিহ্ন খুব কম দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রতিদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন। তিনি নিয়মিত যোগব্যায়াম এবং ধ্যান করেন, যা তার মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মোদির খাদ্যাভ্যাসও খুবই সাধারণ। তিনি নিরামিষভোজী এবং তার পছন্দের খাবারগুলোর মধ্যে সাধারণ ভারতীয় খাবার রয়েছে, যেমন- খিচুড়ি, ডাল এবং সবজি।
আর এবার মোদির এই সাধারণ জীবনের শরিক হতে তাঁর বাসভবনে এল নতুন এক অতিথি। সম্প্রতি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজের বাসভবনে একটি বাচ্চা গরুকে পোষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছেন। বাচ্চা গরুটির নাম রাখা হয়েছে ‘দীপজ্যোতি’। হিন্দি ভাষায় এই নামের অর্থ হল ‘আলোকের উৎস’। প্রধানমন্ত্রী মোদির পশুপ্রেম ও গ্রামীণ সংস্কৃতির প্রতি গভীর অনুরাগ রয়েছে, যা আগেও বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ পেয়েছে। আর এবার তাঁর পশুপ্রেম দেখা গেল এই স্নেহধন্য পশুর উপর।
নতুন অতিথিকে নিয়ে ভিডিও পোস্ট করলেন মোদি
সম্প্রতি, নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে এই নতুন পোষ্যর বিষয়ে দেশবাসীকে জানিয়েছেন মোদি। এই ভিডিওতে তাঁকে ওই বাছুরের সঙ্গে ঠাকুরের সামনে পুজো করতে দেখা গেছে। তারপর তিনি ওই ছোট্ট পশুটির মাথায় হাত বুলিয়ে তাঁকে আদর করেছেন সন্তানের মতো। এই ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে মোদি লিখেছেন, ‘আমাদের শাস্ত্রে বলা আছে- গ্রামঃ সর্বসুখ প্রদায়ঃ। লোক কল্যাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আবাসনে নতুন সদস্যের আগমন। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের প্রিয় গো মাতা নতুন শিশুর জন্ম দিয়েছেন, যাঁর মাথায় রয়েছে আলোর চিহ্ন। তার তাঁর নাম দিলাম দীপজ্যোতি’।
মোদির পশুপ্রেম দেখে মুগ্ধ দেশবাসী
প্রধানমন্ত্রী মোদির এই উদ্যোগটি ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে আলোড়ন তুলেছে। তাঁর অগণিত ভক্ত ও সমর্থকেরা এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি, এটি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের সরলতা ও প্রাকৃতিক জীবনের প্রতি তাঁর টানের পরিচয় দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দীপজ্যোতি গরুটির থাকা ও পরিচর্যা নিয়েও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গো-মাতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল মোদি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সিদ্ধান্তটি মূলত তাঁর নিজস্ব বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে, যেখানে তিনি প্রাকৃতিক পরিবেশ ও গবাদি পশুর প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করেন। ভারতের গ্রামীণ জীবনযাত্রায় গরু একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক, যা শুধুমাত্র অর্থনৈতিক নয়, ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক অর্থেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দীপজ্যোতির নামকরণও সম্ভবত এই সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিক সংযোগের একটি অংশ।