শ্বেতা মিত্রঃ ভরা বর্ষাতেও বাঙালির পাতে নেই পদ্মার ইলিশ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেজায় মন খারাপ মাছপ্রেমী বাঙালির। এমনিতে প্রতি বছর বর্ষার মরসুম থেকে শুরু করে দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশ থেকে ভারতে পদ্মার সুস্বাদু ইলিশ পাঠানো হয়। বছরের পর বছর ধরে এই রেওয়াজ চলে আসছে। তবে এই বছরটা সবকিছুর থেকে আলাদা। ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে বাংলাদেশে। এখন বাংলাদেশে নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন হয়েছে। আর এই নতুন সরকার ভারতকে এই বছর দুর্গাপুজোর সময় ইলিশ পাঠাবে না বলে সাফ সাফ জানিয়ে দিল। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। অর্থাৎ এই বছর আর পদ্মার ইলিশ খাওয়া হবে না বাঙালিদের।
পাতে পড়বে না পদ্মার ইলিশ
একদম দোরগোড়ায় চলে এসেছে দুর্গাপুজো। আর দুর্গাপুজো মানেই হল দেদার খাওয়া, দাওয়া, প্যান্ডেল হপিং, আড্ডা দেওয়া ও আরও কত কি। কিন্তু এই বছর ইলিশ মাছ খাওয়ার আনন্দ থেকে বঞ্চিতই থাকতে হবে বাঙালিদের। অভ্যন্তরীণ চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবার পদ্মার ইলিশ বাংলায় রফতানি করা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, এ নিয়ে ক্ষমা চাইলেন বাংলাদেশের মৎস্য মন্ত্রকের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
ক্ষমা চাইলেন মন্ত্রী
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ক্ষমা চাই। কিন্তু, আমরা ইলিশ ভারতে যেতে দিতে পারি না। এটি একটি মূল্যবান মাছ। আমাদের দেশের মানুষ এই মাছ খেতে পান না। কারণ সমস্ত ভারতে এতদিন ভারতে রফতানি করা হত। বাকি যে মাছ থাকে তা আমাদের দেশের মানুষকে বেশি টাকায় কিনতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরাও দুর্গাপুজো উদযাপন করি, আমাদের দেশের মানুষ এখানেও দুর্গাপুজো উপভোগ করতে পারে।’ এদিকে অতীতে শেখ হাসিনার ভারতকে টন টন ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন মন্ত্রী। ফরিদা বলেন, ‘এর দরকার ছিল না। তাঁর এটা করা উচিত হয়নি এবং শুধু ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের স্বার্থে তিনি বাংলাদেশের জনগণের চাহিদার সঙ্গে আপোষ করেছেন।’
তবে ভারতে ইলিশ না পাঠালেও নয়া দিল্লির কাছে আলু ও পেঁয়াজ পাঠানোর আর্জি করেছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশে ৭০ টাকা কেজি দরে আলু ও প্রায় ১৫০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। আলু, পেঁয়াজ ছাড়াও ডিমের জন্য আর্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে ভারতের তরফে কয়েক লক্ষ ডিম পাঠানো হয়েছিল। তারপর বাংলাদেশে ডিমের দাম অর্ধেক হয়ে যায়। এবার আলু, পিঁয়াজ আমদানি করে দেশে দাম কমাতে চাইছে ইউনুস সরকার।