প্রীতি পোদ্দার: ভারতবিদ্বেষ পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়া প্রকাশ করা নিয়ে নানা ঘটনা ইতিমধ্যে ঘটে গিয়েছে। কাউকে দেশদ্রোহী বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং অপরাধস্বরূপ জেলের ঘানি টানছে। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশে এমন একটা ঘটনা ঘটে দেখা গিয়েছে এক কলেজ পড়ুয়ার সঙ্গে। এক হিংসাত্মক পোস্ট করায় তাঁকে জনরোষের মুখে পড়তে হয়। আর এই আবহে ফের এক কাণ্ড ঘটল ভারতে।
ঘটনাটি কী?
জানা গিয়েছে, গত মাসের ২১ তারিখ বীরভূমের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত ভবনে পড়াশোনা করতেন বাংলাদেশি ছাত্র রিপন সরকার। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিস্ফোরক পোস্ট করেন। যেখানে তিনি বলেন বাংলাদেশে যে সাম্প্রতিক বন্যা হয়েছে সেখানে সমস্ত এলাকা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর এই গোটা ঘটনার জন্য তিনি দায়ী করেছেন ভারতকে। সেই পোস্টে তিনি আরও লিখেন, ‘আমার ফেনীকে শেষ করে দিচ্ছে ভারত।’
রিপনের এই পোস্টের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ এর ঝড় উঠেছে নানা জায়গা থেকে। এমনকি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিনয় কুমার সোরেনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্রবাদী সচেতন সংগঠন। সেই অভিযোগে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত ভবনের বাংলাদেশি ছাত্র রিপন সরকারের ভারতবিরোধী পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন তুলেছে। এতে আমাদের প্রিয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় যেমন নাম খারাপ হচ্ছে, তেমনি জনমানুষের মধ্যে উত্তেজনাময় পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তার এই পোস্ট দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে অবনতি ঘটাতে পারে।’
ক্ষিপ্ত প্রাক্তনীদের সংগঠন
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর প্রবিধানের ৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জানা গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত অবস্থায় কোনো পড়ুয়া যদি রাজনৈতিক কার্যকলাপ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ভারত সরকার বিরোধী কার্যকলাপ করে থাকে তাহলে সেটি ভারতের সঙ্গে অন্য কোনো দেশের সম্পর্ক বিব্রতকর হতে পারে- এমন কোনো কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়া যাবে না। কিন্তু এই নিয়ম লঙ্ঘন করে পড়ুয়ার এই ধরনের কাজে ক্ষিপ্ত প্রাক্তনীদের সংগঠন। তাই এক সপ্তাহের মধ্যে গোটা ঘটনার কোনো পদক্ষেপ না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় প্রাক্তনীদের সংগঠন।