দাপাদাপির দিন শেষ, পুজোর আগেই ই-রিকশা নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার

Published on:

electric rickshaw toto

শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ বর্তমান সময়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার ক্ষেত্রে নানারকম গণ পরিবহণের ব্যবস্থা রয়েছে। ট্রেন, বাস থেকে শুরু করে অটো, রিকশা, ই-রিকশা নানা জিনিস। এক কথায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করে তুলেছে এই গণ পরিবহণ ব্যবস্থাগুলি। তবে আজ এই প্রতিবেদনে কথা হবে ই রিকশা নিয়ে। এই ই রিকশা শহর থেকে শুরু করে মফঃস্বল, গ্রাম সব জায়গাতেই চলতে দেখা যায়। কিন্তু এবার এই ই রিকশা সংক্রান্ত বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। যারা এই ই রিকশা চালান তাঁদের জন্য রয়েছে বড় খবর।

ই-রিকশা নিয়ে বড় পদক্ষেপ

আপনিও কি ই-রিকশা চালান? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য। আসলে এবার পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন বিভাগ ই-রিকশার রেজিস্ট্রেশন সহজ করার এবং অনিবন্ধিত এবং অবৈধভাবে চলাচলকারী রিকশাকে পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কোনও স্ট্যান্ডার্ড উৎপাদন পদ্ধতি বা সুরক্ষা নির্দেশিকা অনুসরণ না করে ওয়ার্কশপে নির্মিত লক্ষ লক্ষ অনিবন্ধিত ই-রিকশা চলাচলের বিষয়ে বিভিন্ন সংস্থার উপস্থাপনার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।

WhatsApp Community Join Now

বড় পদক্ষেপ পরিবহণ দফতরের

ইতিমধ্যে পরিবহণ দফতরের বড় পদক্ষেপে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে ই রিকশা চালকদের। সরকারের তরফে যেকোনও সময়ে অনিবন্ধিত এবং অবৈধভাবে চলাচলকারী রিকশাকে বন্ধ করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে এই বিপত্তি এড়াতে সকলকে ই-রিকশার রেজিস্ট্রেশন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে একাধিক জটিলতায় ২০১৯ সাল থেকে ই-রিকশার রেজিস্ট্রেশন বা নথিভুক্তকরণের কাজ আটকে ছিল। এদিকে এই রিকশা নিয়ে বেশ কিছু মামলা আদালত অবধি গড়িয়েছিল। যাইহোক, সম্প্রতি পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহন এক নির্দেশিকা জারি করে জরুরি ভিত্তিতে ই-রিকশার নথিভুক্তকরণ সম্পূর্ণ করতে বলেছেন।

সরকারি আধিকারিকদের মতে, যত সময় এগোচ্ছে শহর থেকে জেলা সর্বত্র এই ই রিকশা বা টোটোর দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। এমন অনেকেই আছে যারা বিনা লাইসেন্সে এই টোটো বা ই রিকশা চালাচ্ছে। তবে এবার এসব রুখতে বড় সিদ্ধান্ত নিল সরকার। আধিকারিকদের বিশেষ দল গড়ে তাই টোটো এবং ই রিকশা চিহ্নিত করতে চায় রাজ্য।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন