বাংলাদেশের অনুরোধে না ভারতের, আমেরিকায় বৈঠক হচ্ছে না মোদী-ইউনূসের

Published on:

modi yunus meeting

প্রীতি পোদ্দার: জন বিক্ষোভের জেরে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তড়িঘড়ি সবকিছু ছেড়ে ভারতে চলে আসেন তিনি। তারপর থেকে তিনি ভারতেই রয়েছেন। সেই সময় হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন হবে, তা নিয়ে যে জল্পনা শুরু হয়েছিল, তা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এদিকে পরের সপ্তাহেই ৭৯ তম রাষ্ট্র সংঘের বৈঠক। জানা গিয়েছে আগামী ২২-২৭ সেপ্টেম্বর এই অধিবেশনে যোগ দেবেন দেশটির নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার বৈঠকে যোগ মোদি ইউনূসের

আগামী সপ্তাহেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে যোগ দিতে যাবেন দুই রাষ্ট্রনেতা। আর এই পরিস্থিতিতে চলতি মাসের প্রথম দিকেই এই বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছিল ভারতকে। যেখানে ঢাকার প্রস্তাব ছিল, নরেন্দ্র মোদীর মতোই মহম্মদ ইউনুসও আমেরিকায় আয়োজিত রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার বৈঠকে যোগ দেওয়ার সময়েই যেন আলাদা করে দু’জনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। কিন্তু আশঙ্কা বাড়ছে হয়তো বাংলাদেশের এই অনুরোধ রাখতে পারবে না ভারত। আর কারণ হিসেবে মূলত দুটি দিক তুলে ধরেছে প্রশাসন।

WhatsApp Community Join Now

ঠাসা কর্মসূচিতে ভারত ও বাংলাদেশের বৈঠক বাতিল!

তার মধ্যে একটি হল প্রধানমন্ত্রী মোদী তিনদিনের সফরে আমেরিকা যাচ্ছেন। সেখানে তাঁর ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে। অন্যদিকে রাষ্ট্র বৈঠক এর মত বৈঠকে আপাতত ভারতের অ্যাজেন্ডা নয়। তাই মোদি এবং ইউনূস এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভবিষ্যৎ এ কতটা মসৃণ হবে তা নিয়ে বেশ ধোঁয়াশা রয়েছে। এদিকে আজই শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। অর্থাৎ কূটনৈতিক পাসপোর্টের দৌলতে ভারতে যে ৪৫ দিন থাকতে হয় সেই মেয়াদ আজই পূর্ণ হচ্ছে। এদিকে শেখ হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশ সরকার। যদিও বা সে যদি দেশে ফেরে তাহলে ফের বাংলাদেশে অশান্তির আগুন লেগে যাবে। তাই আশা করা হচ্ছে যে ভারত, তিব্বতী ধর্মগুরু দলাই লামার মতো ‘সাময়িকভাবে’ রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হতে পারে হাসিনাকে।

পাশাপাশি, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও মোদীর বৈঠকের কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে, তাঁদের মুখোমুখি সাক্ষাৎ হলেও হতে পারে। অন্যদিকে দিল্লির এক আধিকারিক এর পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে নিউ ইয়র্কে থাকাকালীন বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে আলাদা করে হয়তো দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে পারেন নরেন্দ্র মোদী।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন