শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ শিয়রে রয়েছে দুর্গাপুজো। আর আসন্ন এই উৎসবকে কেন্দ্র করে সকলের প্রস্তুতি রীতিমতো তুঙ্গে রয়েছে। চলছে দেদার শপিং থেকে শুরু করে নানা জায়গায় প্যান্ডেল বাঁধার কাজ। এদিকে আসন্ন এই উৎসবকে মাথায় রেখে রেল থেকে শুরু করে রাজ্য পরিবহণ দফতরও রীতিমতো একদম প্রস্তুতির মুডে রয়েছে। পুজোকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ট্রেন, মেট্রো থেকে শুরু করে বাস চালানোর ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আজ কথা হবে কলকাতা মেট্রো নিয়ে। দুর্গাপুজোর আগে এবার বড় চমক দিতে চলেছে কলকাতা মেট্রো। আর এই চমক দেওয়া হবে বউবাজার মেট্রো নিয়ে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আপনিও কি এই বউবাজার মেট্রো পরিষেবা দ্রুত শুরু হওয়ার পক্ষে? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য।
বউবাজার মেট্রো নিয়ে বড় আপডেট
এমনিতে আর কোনও রুট হোক বা না হোক, বউবাজার দিয়ে মেট্রো পরিষেবা শুরু করতে গিয়ে রীতিমতো কালঘাম ছুটে গিয়েছে আধিকারিকদের। যখনই কাজে হাত দেওয়া হোক না কেন বাধা আসবেই আসবে। এ যেন অবধারিত। কখনও মাটি ধসে যাচ্ছে তো মেট্রোর কাজ চলাকালীন বউ বাজারে থাকা বাড়ি ঘরে ফাটল দেখা দেওয়া। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যেন খারাপের দিকে এতদিন যাচ্ছিল। কাজ অবধি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে আর নয়, এবার এই মেট্রো পরিষেবা নিয়ে প্রকাশ্যে এল বড় আপডেট।
কয়েক সপ্তাহ আগেই বিপত্তি ঘটায় বউ বাজার এলাকায় মেট্রোর কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার এল সুখবর। পুজোর আগেই ফের এই কাজ শুরু হল। উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৫ তারিখেই বউবাজারে মেট্রোর কাজ করতে গিয়ে ক্রসপ্যাসেজ নির্মাণের সময় সমস্যা দেখা গিয়েছিল। দুর্গাপিতুরি লেনে এই সমস্যা দেখা দেয়।
ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে
এদিকে এই কাজের জন্যে এমিতেই ২৬ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে স্থানীয়দের এই নিয়ে ক্ষোভের মাত্রা আরও যেন বেড়েই চলেছে। সকলের বক্তব্য, মেট্রোর কাজের জন্য বৃহস্পতিবার মাঝরাতে তাঁদের আবার হোটেলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্যত্র থাকতে হবে। কিন্তু ২ তারিখই তাদের বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর আবারও তাদের সরানো হয়েছে। দীর্ঘ এহেন টালবাহানা নিয়ে বিরক্ত তাঁরাও।
তবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনার প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে মাটির নীচে বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই আবহে বুধবার ফের কাজ শুরু করেছেন ইঞ্জিনিয়াররা। সবথেকে বড় কথা, শিয়ালদা থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত ২.৪ কিলোমিটার অংশের কাজ প্রায় পুরোটাই শেষ হয়ে গিয়েছে।