ঘুম উড়বে পাকিস্তান, চিনের! আরও ভয়ঙ্কর ড্রোন বানাতে ২০০০ কোটি বিনিয়োগ করছে ভারত

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: চার দিনের সীমান্ত সংঘর্ষ ভারতীয় ড্রোন নীতির ভবিষ্যৎকেই বদলে দিল! হ্যাঁ, পাকিস্তানের সঙ্গে মে মাসের সংঘর্ষের কারণে প্রথমবার বড় মাপের সামরিক ড্রোন ব্যবহার করেছিল ভারত। আর সেই অভিজ্ঞতা থেকে এবার নিজেদের ড্রোন নির্মাণ ক্ষমতা বাড়াতে 234 মিলিয়ন ডলারের বিরাট প্রকল্প ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

আর এটি শুধুমাত্র সামরিক খাতকে উন্নত করার জন্য নয়। বরং চিন এবং পাকিস্তানের মতো প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নত দেশগুলোর দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া এবং বিশ্ববাজারে ভারতের ড্রোন শিল্পকে আরও পাকাপোক্ত করাই দিল্লির মূল উদ্দেশ্য।

যুদ্ধের ময়দানে অভিষেক ড্রোনের

বলে রাখি, চলতি বছরের মে মাসে সীমান্তে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে ভারতের সংঘর্ষ ঘটে। আর এই অল্প সময়ের মধ্যেই ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই বহু ড্রোন, লুইটারিং মিউনিশন ব্যবহার করে। দেশের প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং জানিয়েছেন, এই সংঘর্ষ আমাদেরকে বুঝিয়েছে যে, দেশের মধ্যে ড্রোন উৎপাদনে কতটা জোর দেওয়া দরকার। একটি শক্তিশালী এবং সম্পূর্ণ সামরিক ড্রোন ইকো-সিস্টেম এক্ষুনি আমাদের তৈরি করতে হবে।

নতুন প্রকল্প প্রণোদনা

এবার কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ড্রোন তৈরি করার জন্য প্রণোদনা নামের নতুন প্রকল্প চালু করা হয়েছে, যার বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় 234 মিলিয়ন ডলার। এমনকি আগামী তিন বছর মেয়াদ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আর কেন্দ্রের মূল লক্ষ্য—সিভিল ও মিলিটারি ড্রোন তৈরি করা। পাশাপাশি ড্রোন পার্ট, সফটওয়্যার, কাউন্টার ড্রোন প্রযুক্তি নির্মাণ করা এবং রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষেবা দেওয়া।

দেশীয় উৎপাদনে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র

বর্তমান সময়ে ভারত সম্পূর্ণ ড্রোন আমদানি নিষিদ্ধ করলেও চিন থেকে এখনও পর্যন্ত বহু যন্ত্রাংশ আমদানি করা হয়। আর সেই নির্ভরতা কমিয়ে আনার পথেই কেন্দ্র। কারণ এবার নতুন প্রকল্পের মূল লক্ষ্য—2028 সালের মধ্যে 40 শতাংশ ড্রোনের কম্পনেন্ট ভারতে তৈরি করা হবে। আর সেই সঙ্গে কোম্পানির দেশীয় পার্টসগুলি অন্যান্য দেশ ব্যবহার করতে পারবে। সেক্ষেত্রে তারা অতিরিক্ত ইনসেন্টিভ পাবে।

আরও পড়ুনঃ ঘূর্ণাবর্ত-অক্ষরেখার চোখরাঙানি, দক্ষিণবঙ্গের ৪ জেলায় লাল সতর্কতা, আজকের আবহাওয়া

আন্তর্জাতিক খাতেও বিরাট পদক্ষেপ

চিন এবং তুরস্ক থেকে ড্রোন সহায়তা পেয়ে পাকিস্তান সম্প্রতি নিজেদের শক্তি বাড়াচ্ছে। আর তার জবাব দিতেই ভারতের এই বড়সড় পদক্ষেপ। আর এটি শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা নয়, বরং কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক দিক থেকেও বিশ্বকে যোগ্য জবাব। হ্যাঁ, ভারত আর পিছিয়ে নয়। প্রযুক্তিগত থেকে শুরু করে সুরক্ষার দিক থেকেও এখন বিশ্বসেরা।

Leave a Comment