চিনের পরিকল্পনায় এক বালতি জল ঢেলে দিল ভারত! বিরাট মাস্টারস্ট্রোক কেন্দ্রের

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: চিনের খপ্পরে মুখ থুবড়ে পড়ল ভারত? তবে দিল্লিও যোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুত! সম্প্রতি অ্যাপলের নির্মাতা সংস্থা ফক্সকনের ভারতীয় কারখানা থেকে 300-র বেশি ইঞ্জিনিয়ারকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে বেজিং। এর জেরে সামান্য একটি ঝটকা খেয়েও ভারতের ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের পদক্ষেপ গোটা দুনিয়াকে দেখিয়ে দিল যে, ভারত সবকিছু সামলাতে প্রস্তুত!

ঠিক কী ঘটেছিল?

ফক্সকনের চেন্নাই  প্ল্যান্টে চিন থেকে আসা বহু ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করতেন। এরা শুধুমাত্র প্রোডাকশন নয়, বরং ভারতীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণও দিত। তবে হঠাৎ করেই চিনের নির্দেশে তাদেরকে দেশে ফিরে যেতে হয়। আর এই পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক মহলে পড়ে যায় শোরগোল। প্রশ্ন ওঠে, চিন তাহলে ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতের ইলেকট্রনিক্স খাতকে তলানিতে ঠেকাতে চাইছে?

এ বিষয়ে দেশের ইলেকট্রনিক্স মন্ত্রক সাফ জানিয়েছে যে, এই সমস্যা সাময়িক। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ফক্সকন ইতিমধ্যেই 500 থেকে 1000 ভারতীয় কর্মী নিয়োগ করতে শুরু করেছে। আর সরকার নিজেই মেশিনারি থেকে শুরু করে ম্যানুফ্যাকচারিং টুলস তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে।

ইচ্ছাকৃতভাবেই এমন করল চিন?

বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছে, চিন পরিকল্পনামাফিকই এই কাজ করেছে। কারণ বিশ্বজুড়ে টেক কোম্পানিগুলো যখন চিনের উপর নির্ভরতা কাটিয়ে ভারত বা অন্যান্য এশিয়ার কারখানার উপরে নজর রাখছে, তখন চিন এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে নিজেদের প্লাস পয়েন্ট তৈরি করতে চাইছে। এমনকি চিন শুধুমাত্র কর্মী আটকে ভারতকে ফ্যাসাদে ফেলছে না, বরং বিভিন্ন প্রযুক্তি সরঞ্জাম রপ্তানিতেও বাঁধা সৃষ্টি করছে।

আরও পড়ুনঃ বাংলা পেতে চলেছে নতুন রেল রুট! এক সূত্রে গাঁথবে হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া

তবে যেখানে অন্য দেশ চিনের সিদ্ধান্তে পিছিয়ে যেতে পারে, সেখানে মোদি সরকার চুপ থাকার পাত্র নয়। কারণ বিদেশী ইঞ্জিনিয়ার না থাকলেও ভারতেই তৈরি হচ্ছে এবার ট্যালেন্ট। স্কিল ডেভেলপমেন্টের গতি আরও বাড়বে বলেও জানানো হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে। পাশাপাশি মেক ইন ইন্ডিয়া এবং সেমিকন্ডাক্টর মিশন এবার নয়া রূপ পাবে।

যদিও চিনের এই পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাপল এবং ফক্সকনের তরফ থেকে এখনো কোনোরকম ঘোষণা আসেনি। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে উদ্বেগ। তবে চিন যদি এইভাবে ভারতের প্রযুক্তি খাতকে দুষে দিতে চায়, তাহলে ভারতের ইলেকট্রনিক্স শিল্প সত্যিই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। এখন দেখার, কেন্দ্রীয় সরকার কীভাবে এই পরিস্থিতির সামাল দেয়।

Leave a Comment