বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতে থাকলেও বাংলাদেশে এবার বিরাট বিপদে পড়লেন ওপারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে একটি ভাইরাল অডিও ক্লিপ। যেখানে হাসিনাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, যেখানেই ওদের দেখবে, সেখানেই গুলি করে মারবে!
ভাইরাল অডিও ক্লিপটির সত্যতা যাচাই না করলেও এক রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, খুব সম্ভবত অডিওটি 2024 সালের 18 জুলাইয়ের। অডিওটিতে এক সরকারি আধিকারিককে এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা! যা প্রকাশ্যে আসতেই এবার মুজিব কন্যার বিপদ কয়েকগুণ বেড়ে গেল বলেই মনে করছেন অনেকে।
কাদের প্রাণে মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসিনা?
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভাইরাল অডিও ক্লিপটি যে তারিখের, গত বছর সেই সময়ে বাংলাদেশে জোর কদমে চলছিল ছাত্র আন্দোলন। সে সময় ওপার বাংলার গণভবনেই ছিলেন হাসিনা। সূত্রের খবর, ভাইরাল ওই অডিও ক্লিপে বাংলাদেশের এক উর্দ্ধতন কর্তাকে বড় নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাকি বলেছিলেন, ওদের যেখানেই দেখতে পাবে, গুলি করে মারবে! যদিও ঠিক কাদের উদ্দেশ্য করে হাসিনা একথা বলেছিলেন তা স্পষ্ট নয়। তবে তবে সূত্র বলছে, এদিন হাসিনা আসলে বাংলাদেশের আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। জানা যায়, হাসিনার ওই নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঢাকাজুড়ে বিভিন্ন সামরিক গ্রেডের অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের দমন করতে ময়দানে নামে বাংলাদেশের পুলিশ থেকে শুরু করে সেনা কর্মীরা!
অবশ্যই পড়ুন: কাটছে জট, এশিয়া কাপে সেপ্টেম্বরের প্রথমেই মুখোমুখি হতে পারে ভারত-পাকিস্তান
বিপদ বাড়ল হাসিনার?
একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা, একাধিক অগ্রহণযোগ্য কার্যকলাপ সহ বিভিন্ন অপরাধের ভিত্তিতে কয়েকশো মামলা রুজু হয়েছে বাংলাদেশে। এছাড়াও জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনের সময় অবমাননার মামলাও দায়ের হয় হাসিনার বিরুদ্ধে। সেই মামলার রায় দিতে গিয়েই গত বুধবার শেখ হাসিনাকে 6 মাসের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। তবে রায়দানের সময় সে দেশের পক্ষে সওয়াল করা আইনজীবী দাবি করেছিলেন, হাসিনার ওই ভাইরাল অডিও ক্লিপটি বড়সড় প্রমাণ হয়ে উঠতে পারে। যদিও আইনজীবীর এমন দাবিকে উড়িয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশের আওয়ামী লিগ পার্টির নেতাকর্মীরা।