প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: চলতি বছর গত এপ্রিলে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের এসএসসির গোটা প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হয়। যার দরুন ২৫ হাজার ৭৩৫ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছিল। এরপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য শিক্ষা দফতর। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, এসএসসি-র ২০২৫-এর ওই বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী। তাই এই বিষয়ে মামলা ওঠে হাইকোর্টে।
সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে নির্দেশ
গত সোমবার বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চে ওই মামলা ওঠে। সেখানে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট জানায় রাজ্য এবং SSC। তাঁদের মতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কোথাও বলা নেই যে চিহ্নিত ‘অযোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপ্রক্রিয়ায় যোগ দিতে পারবেন না।
তবে বেতন ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই শাস্তির পরে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে না দেওয়াটা আরও এক শাস্তি। কিন্তু এই যুক্তিতে সন্তুষ্ট হয়নি আদালত। বিচারপতি ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কমিশনের কাছ থেকে এই ব্যাখ্যা প্রত্যাশিত নয়।’’
সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ SSC-র
তার পরেই হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ জানায়, শুধু ‘দাগি বা চিহ্নিত অযোগ্য’দের নিয়োগপ্রক্রিয়া থেকে বাদ দিতে হবে। অর্থাৎ কোনও ‘দাগি বা চিহ্নিত অযোগ্য’ প্রার্থী যদি ইতিমধ্যেই আবেদন করে থাকেন, সেই আবেদনপত্র বাতিল করতে হবে। তাতে আবার রাজ্য ও SSC সন্তুষ্ট না হওয়ায় ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করা হয়।
কিন্তু সেখানেও রাজ্য এবং SSC-র যুক্তি খাটল না। সেই মামলার রায়েই স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হল একক বেঞ্চের নির্দেশ বহাল থাকবে। অর্থাৎ কোনও চিহ্নিত অযোগ্যই পরীক্ষায় বসতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: ২০২৬-র বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন রিঙ্কু মজুমদার, কোন আসন? জানালেন দিলীপপত্নী
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন পরীক্ষায় অযোগ্যরা বসতে পারবেন না বলে সিঙ্গল বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, এদিন সেটাই বহাল রাখলেন বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ৷ দুইদিনের দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে গতকাল ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য ও SSC-র আবেদন খারিজ করল। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতায় ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর থাকা-সহ অন্যান্য বিষয়ে আগামী সোমবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে ডিভিশন বেঞ্চ।