বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে ই-ওয়ালেট লেনদেন ছুঁল ১,০০০ কোটি! অভিনন্দন মমতার

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে সরকার গঠনের পরেই নাগরিকদের উদ্দেশ্যে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। শুধু তাই নয় রাজ্যবাসীর সুবিধার্থে একের পর এক প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি দুয়ারে সরকার, পাড়ায় সমাধান, বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মতো নানা প্রকল্প সারাবছর ধরে জেলায় জেলায় কাজ করে চলেছে। এমতাবস্থায় রাজ্য সরকার আরও এক নয়া মাইলফলক রচনা করতে চলেছে।

ডিজিটাল পরিষেবায় বড় সাফল্য

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে যে, বিধবা ভাতা, স্টুডেন্ট স্কলারশিপ, কাস্ট সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য সাথী, কৃষি সংক্রান্ত সুযোগসুবিধা থেকে শুরু করে আবাসন—এই সকল সমস্ত সরকারি পরিষেবা হাজারেরও বেশি প্রতিদিন সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র।

পাশাপাশি রাজ্যের প্রায় ৩৭০০-র বেশি BSK কেন্দ্র বা বাংলা সহায়তা কেন্দ্র-তে প্রায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ডিজিটাল পরিষেবা গ্রহণ করে চলেছে। আর এই আবহে আরেকবার আরও বড় এক সাফল্যের খবর সামনে এল।

কী বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন যে, খুব কম সময়ের মধ্যে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে বিভিন্ন পরিষেবায় ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন হাজার কোটি টাকা পেরিয়েছে। রাজ্যের তরফে এই সাফল্যকে ‘Digital Bangla in Action’ প্রকল্পের গর্বের মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই উদ্যোগ নাগরিকদের ক্ষমতায়ন করছে, পরিষেবার নাগাল আরও মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে এবং সর্বজনীন প্রশাসনের লক্ষ্যে এক বড় পদক্ষেপ।”

আরও পড়ুন: সুগার কমাতে পেয়ারা পাতা খাওয়ার পরামর্শ মমতার! জানেন কী কী গুণ আছে এতে?

পরিষেবা বৃদ্ধির পথে নবান্ন

এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত অপারেটর ও সহায়ক কর্মীদের উদ্দেশে আরও লিখেছেন যে, তাঁদের ঐকান্তিক পরিশ্রমের ফলেই আজকে এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্র এক ঐতিহাসিক অর্জন করতে পেরেছে। তাই সকলকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।”

অন্যদিকে রাজ্যের এই বড় সাফল্যকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন যে, এই সাফল্যের পর BSK প্রকল্প আরও সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা চলছে। গ্রামীণ অঞ্চলে আরও গভীরে পৌঁছনো ও পরিষেবার পরিধি বাড়াতে চলেছে নবান্ন।

Leave a Comment