বান্ধবীকে IPS বানাতে নয়! গরুকে রাষ্ট্রীয় মাতার পরিচয় দিতে ১২১ লিটার গঙ্গা জল নিয়ে যাত্রা

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ধর্ম আর অনুভূতির মাঝে লুকিয়ে থাকে ভালোবাসা! আসলে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে দিল্লির তরুণ রাহুল কুমারের জীবনে। হাজার হাজার কানওয়ার (Kanwar Yatra 2025) ভক্তের ভিড়ে শ্রাবণ মাসের পবিত্র লগ্নে গঙ্গাজল নিয়ে 202 কিলোমিটার হেঁটে মহাদেবকে জল অর্পণ করতে গেলেন তিনি! তাও নাকি প্রেমের টানে! তবে আদৌ কি তাই? নাকি অন্য কিছু? চলুন বিস্তারিত জেনে নিই।

প্রেমিকার IPS হওয়ার প্রার্থনায় কাঁধে 121 লিটার গঙ্গাজল?

সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, দিল্লির নরেলা এলাকার বাসিন্দা রাহুল কুমার, যার বয়স খুব একটা বেশি নয়, তিনি শ্রাবণ মাসের পূর্ণ তিথিতে 220 কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে কানওয়ারের পথে হেঁটে চলেছেন। আর তাঁর কাঁধে রয়েছে 121 লিটার গঙ্গাজল ভর্তি কাওয়াড়।

তবে প্রশ্ন উঠছে, কেন এত কষ্ট? জানা গিয়েছে, তার প্রেমিকা নাকি UPSC’র প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর সে চায়, যেন তার প্রেমিকা আইপিএস অফিসার হয়। সেজন্যই তার এই যাত্রা। প্রসঙ্গত, এটি তাঁর চতুর্থ বার কানওয়ার যাত্রা। আর গতবছর তিনি 101 লিটার জল বহন করেছিল। আর এবার সেই অংক বাড়িয়ে 121 লিটারে পৌঁছেছেন। এমনকি যতদিন তার প্রেমিকার স্বপ্ন পূরণ না হচ্ছে, ততদিন তিনি নাকি এই যাত্রা চালিয়ে যাবেন।

তাঁর নিজের পড়াশোনার কী অবস্থা?

রাহুল নিজে শিক্ষাগত দিক থেকে খুব একটা উচ্চতার নন। তিনি নাকি দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তবে তার ভালোবাসা ও দৃঢ়তা তাকে এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। এমনকি তার যাত্রায় সঙ্গী হয়েছেন বন্ধু নন্দলাল, যিনি বাইকে পাশাপাশি প্রয়োজনের সময় সাহায্য করতে করতে এগিয়ে চলেছেন।

প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, হিন্দু ক্যালেন্ডার শ্রাবণ মাসে লক্ষ লক্ষ ভক্ত কানওয়ার যাত্রায় অংশ নেয়। আর তারা হরিদ্বার, গঙ্গোত্রী বা গড়মুখ থেকে গঙ্গাজল সংগ্রহ করে নিজেদের স্থানীয় শিব মন্দিরে গিয়ে জল অর্পণ করে। এমনকি এই যাত্রায় ধর্মীয় থেকে শুরু করে গভীর আধ্যাত্মিক সংযোগ লুকিয়ে থাকে। 

আরও পড়ুনঃ চিন ভরসা আর নয়, রেয়ার আর্থ চুম্বকের উৎপাদন বাড়াতে ১,৩৪৫ কোটি ঢালছে ভারত

আদৌ কি প্রেমিকার টানে তাঁর এই যাত্রা?

তবে না, আসল সত্য লুকিয়ে রয়েছে অন্য জায়গায়। কারণ, রাহুল আদৌ তাঁর প্রেমিকার টানে 121 লিটার গঙ্গাজল ভর্তি কাওয়াড় নিয়ে তীর্থস্থানে যাচ্ছে না। সে নিজেই জানিয়েছে, গো মাতাকে রাষ্ট্র মাতার পরিচয় পাইয়ে দিতেই তার এই দীর্ঘ তীর্থযাত্রা। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা ছড়িয়ে পড়েছে, তা সম্পূর্ণ ফেক এবং মিস-লিড খবর। তাই অজথা গুজবে কান দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

Leave a Comment