বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: নোয়াপাড়া থেকে বারাসাত, ইয়েলো লাইন মেট্রো রুটে বিমানবন্দর পর্যন্ত অংশের কাজ শেষের পর এবার ফেজ টু অর্থাৎ বিমানবন্দর থেকে নিউ ব্যারাকপুর পর্যন্ত অংশের কাজ শুরু হয়েছে বলেই খবর। এ প্রসঙ্গে মেট্রোর এক আধিকারিক দাবি করেছেন, নিউ ব্যারাকপুর পর্যন্ত অংশের কাজ শেষ হলেই বারাসাত পর্যন্ত গোটা মেট্রো অংশের কাজ সম্পন্ন হবে।
ফেজ ওয়ানের কাজ শেষ করেই দ্বিতীয় ধাপে হাত লাগালো কর্তৃপক্ষ
রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতা মেট্রোর প্রস্তাবিত 10 স্টেশনের ফেজ ওয়ান ইয়েলো লাইন অংশ অর্থাৎ নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রোর কাজ শেষ হয়েছে। এবার অপেক্ষা শুধুই কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির অনুমোদনের।
জানা যাচ্ছে, রেলওয়ে সেফটির তরফে অনুমোদন পাওয়ার পরই 18.2 কিলোমিটার দীর্ঘ লাইনের প্রথম 7 কিলোমিটারের বাণিজ্যিক পরিবহন শুরু করা যাবে। মূলত সে ব্যবস্থা করে রেখেই এবার দ্বিতীয় ধাপ অর্থাৎ ইয়েলো লাইনের ফেজ টু অংশে হাত লাগালো কর্তৃপক্ষ।
আপাতত রিপোর্টে যে দাবি করা হচ্ছে তাতে, ইয়েলো লাইনের ফেজ টু অংশ অর্থাৎ বিমানবন্দর থেকে নিউ ব্যারাকপুর পর্যন্ত মেট্রোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই শুরু হয়েছে কাজ
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইয়েলো লাইনের ফেজ টু প্রকল্পে বিমানবন্দর থেকে বিরাটি পর্যন্ত 1.7 কিলোমিটার অংশে আপ এবং ডাউন ট্রেন চলাচলের জন্য দুটি সুড়ঙ্গ তৈরি করা হবে। যার দায়িত্ব গিয়ে পড়েছে আইটিডি সিমেন্টেশনের ওপর।
শুধু তাই নয়, ভূগর্ভস্থ বিরাটি স্টেশন এবং বিরাটির পরের স্টেশন মাইকেল নগরের সাবওয়েও তৈরি করবে এই সংস্থা। শোনা যাচ্ছে, এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার ছাড়পত্র ছাড়া এই কাজে হাত লাগানো যাচ্ছিল না। এ প্রসঙ্গে মেট্রোর এক আধিকারিক বলেন, এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষের তরফে সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় ছিলাম।
তাদের তরফে অনুমতি না পেলে ফেজ টু অংশ অর্থাৎ নিউ ব্যারাকপুর পর্যন্ত মেট্রোর কাজ শুরু করা যাচ্ছিল না। যার মধ্যে রয়েছে 18 মিটার উঁচু ক্রেন ব্যবহারের অনুমতিও। তবে অবশেষে সব অপেক্ষা কাটিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের থেকে অনুমতি নিয়েই শুরু হয়েছে ইয়েলো লাইন ফেজ টু নির্মাণের কাজ।
অবশ্যই পড়ুন: চতুর্থ টেস্টের আগে ভারতের প্রথম একাদশে বদল আনার দাবি করলেন রাহানে! সুযোগ পাবেন কুলদীপ?
প্রসঙ্গত, বিমানবন্দর থেকে নিউ ব্যারাকপুর পর্যন্ত অংশে যে সুড়ঙ্গ কাটার কাজ চলবে তা মূলত হবে বক্স পুশিং পদ্ধতিতে। হ্যাঁ, এই অংশে কোনও রকম টানেল বোরিং মেশিন ব্যবহার করা হবে না। মূলত আগে ঢালাই করে তারপর কংক্রিটের বক্স তৈরির মাধ্যমে সুড়ঙ্গ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এদিকে বিরাটি স্টেশন তৈরি হবে আবার কাট অ্যান্ড আন্ডার কভার পদ্ধতিতে, এমনটাই দাবি করা হয়েছে এই সময় সহ হাতে আসা বেশ কয়েকটি রিপোর্টে।