সামান্য বিনিয়োগে মাস গেলে ৫০ হাজার টাকা আয়! আজই শুরু করুন এই ব্যবসা

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে অধিকাংশ মানুষ চাকরির উপর নির্ভরতা কমিয়ে ব্যবসার দিকে পা বাড়াচ্ছে। কারণ ব্যবসা একবার ঠিকঠাক দাঁড় করাতে পারলেই আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় না। তো আজ আমরা এমন একটি লাভজনক ব্যবসার (Business Idea) কথা বলব, যা খুব কম পুঁজি দিয়ে শুরু করতে পারবেন এবং মাস গেলে পকেটে ঢুকবে মোটা অংকের টাকা।

কোন ব্যবসার কথা বলছি আমরা?

আসলে আমরা বলছি আটা বা ময়দার ব্যবসার কথা। হ্যাঁ, দেশের প্রতিটি বাড়িতে রান্নাঘরে প্রতিদিন রুটি তৈরি হয়। আর সেই রুটির প্রধান উপকরণই হলো আটা কিংবা ময়দা। আর আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সাধারণ আটার বদলে চিকিৎসকরা পুষ্টিকর শস্য মিশ্রিত আটা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। যেমন জোয়ার, বাজরা, রাগি, ছোলার ডাল, সয়াবিন ইত্যাদি। তাই এসবের চাহিদা সারা বছর ধরেই আকাশছোঁয়া থাকে।

কীভাবে শুরু করবেন?

এই ব্যবসা শুরু করতে চাইলে আপনাকে প্রথমে পুষ্টিকর শস্য কেনার ব্যবস্থা করতে হবে। গ্রামাঞ্চলের কাছাকাছি কম দামে ভালো ফসল আপনি পেয়ে যাবেন। হ্যাঁ, এখানে গম, বাজরা, ছোলার ডাল, সয়াবিন এসব খুব সহজেই খুঁজে পাবেন। এরপর শস্যগুলি কিনে আপনাকে সেগুলি সংরক্ষণ করতে হবে।

তারপর শস্যগুলি ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে এবং রোদে শুকাতে হবে। এরপর শুকনো শস্যগুলিকে মেশিন দিয়ে গুঁড়ো করে সুন্দর প্যাকেটে করে বিক্রি করতে হবে। ব্যাস, ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য নিজের কোম্পানির লোগো বা নামও ছাপিয়ে দিতে পারেন।

কী কী যন্ত্রপাতি লাগবে?

দেখুন, এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে প্রাথমিকভাবে কিছু যন্ত্রপাতি কিনতে হবে। যেমন আটা চাকির মেশিন, ডাবল স্টেজ পালভারাইজার, রোস্টার, সিলিং মেশিন, ওজন মাপার যন্ত্র, গ্যাস কানেকশন এবং প্যাকিং সামগ্রী ও সামান্য কিছু বাসনপত্র। আর এগুলি কিনতে মোটামুটি 1 লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

তবে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে শুধুমাত্র ভালো আটা তৈরি করলেই চলবে না, তার সঙ্গে প্রয়োজন ভালো প্যাকেজিং ব্যবস্থা। তাই এমন প্যাকেট ডিজাইন করতে হবে, যা সহজে নজরে পড়ে, আর ধীরে ধীরে ব্রান্ড তৈরি হয়। গ্রাহকদের মাঝে এরকম ব্র্যান্ডকে ছড়িয়ে দিতে পারলে আর পিছনে ফিরে তাকানোর দরকার পড়বে না। 

আরও পড়ুনঃ মাত্র ৯৯ টাকায় রিচার্জ প্ল্যান নিয়ে এল Vi, দেখে নিন কী কী সুবিধা মিলবে

কত আয় হতে পারে?

এই ব্যবসা শুরু করে আপনি প্রাথমিকভাবে প্রতিমাসে 40 থেকে 50 হাজার টাকা পর্যন্ত হামেশাই আয় করতে পারবেন। আর একবার গ্রাহক তৈরি হয়ে গেলে নিয়মিত ডেলিভারি দিতে পারলে আয় বাড়তে বাড়তে প্রায় 1 লক্ষ টাকায় পৌঁছতে পারে।

পাশাপাশি ভবিষ্যতে নিজস্ব ডেলিভারি নেটওয়ার্ক তৈরি করে এবং সুপারমার্কেট বা হোটেলেও সরবরাহ করতে পারেন আপনার ব্র্যান্ডের খাদ্যদ্রব্য। এমনকি অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা কামাতে পারবেন। তাই যারা বাড়িতে বসে থেকে ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন, কিন্তু সঠিক বিকল্প খুঁজে পাচ্ছেন না, তাদের জন্য এটি এক্কেবারে সেরা বিকল্প।

Leave a Comment