সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: প্রায় দুই দশক ধরেই ভারতের মাটিতে নেহা কিন্নর নামের তৃতীয় লিঙ্গের নারীর পরিচয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল এক বাংলাদেশী নাগরিক (Bangladeshi Citizen)। হ্যাঁ, তার আসল নাম আবদুল কালাম। 17 বছর বয়সেই সীমান্ত পেরিয়ে এপারে চলে আসেন তিনি। সমাজের চোখে ধুলো দিয়েই ভারতীয় নাগরিক ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে। তবে শেষ রক্ষা হল না। ভোপাল পুলিশের তৎপরতায় অবশেষে তার পরিচয় ফাঁস হল।
নেহা নয়, আসলে তিনি আব্দুল কালাম
তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, আব্দুল কালাম নামের ওই ব্যক্তি শুরুতে মহারাষ্ট্রে বাস করতেন। পরে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে চলে আসেন। সেখানকার মঙ্গলওয়ারা ও বুধওয়া এলাকায় তৃতীয় লিঙ্গের এক নারীর পরিচয় তিনি বসবাস করতে শুরু করেন। এমনকি নিজের নাম দিয়েছিলেন নেহা কিন্নর। পাশাপাশি তিনি নকল আধার কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড সবই তৈরি করে ফেলেছিলেন। ফলে ভারতীয় নাগরিক হিসেবেই দিব্যি ঘুরে বেরাচ্ছিলেন।
He is an illegal Bangladeshi named Abdul Kalam.
He changed his identity to Neha and began living as a transgender.
Abdul has been living in Bhopal for the last 10 years. A forged Aadhaar card and Voter ID card were recovered from him. pic.twitter.com/6FzPw0BAqZ
— Anshul Saxena (@AskAnshul) July 19, 2025
গোয়েন্দা রিপোর্টে ফাঁস গোপন পরিচয়
তবে সম্প্রতি পুলিশের গোয়েন্দা শাখার হাতে একটি গোপন তথ্য উঠে আসে। বলা হয় যে, নেহা নামের এক ব্যক্তি আসলে বাংলাদেশের নাগরিক। আর তিনি বেআইনিভাবেই এতদিন ভারতে বসবাস করছে। সেই সূত্র ধরে তালাইয়া থানার পুলিশ এক সপ্তাহ আগে তাকে গ্রেফতার করেছে। এমনকি তদন্তে উঠে আসে আরও চমক দেওয়া তথ্য। জানা গিয়েছে, তাঁর নামে 2019 সালে এমপি নগর থানায় একটি ক্রিমিনাল রেজিস্টার হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ এক মেয়েকেই বিয়ে করল দুই ভাই! আজব কাণ্ড হিমাচল প্রদেশে, ভাইরাল ভিডিও
পুলিশ কমিশনার জানিয়েছে, শহরের মধ্যে বেআইনিভাবে বসবাসকারী বিদেশীদের চিহ্নিত করতে একটি বিশেষ অভিযান শুরু করা হয়েছে। আর এই ধরনের ভুয়ো নথি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপে নেওয়া হবে। যদিও এখনো আব্দুল কালামের বিরুদ্ধে সরকারিভাবে কোনোরকম ডিপোর্টেশনের নির্দেশ জারি হয়নি। কিন্তু পুলিশ ইতিমধ্যেই তাকে বাংলাদেশে ফেরানোর জন্য তৎপর হয়েছে।