২১ জুলাইয়ের জন্য বন্ধ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কিচেন ক্যান্টিন! স্কুলে মিড ডে মিল রাঁধবেন শিক্ষকরা

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: হাতে বাকি আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। রাত পোহালেই ধর্মতলায় শুরু হতে চলেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের গ্র্যান্ড ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ। ইতিমধ্যেই সমাবেশে যোগদান করতে বিভিন্ন জেলা থেকে কাতারে কাতারে সমর্থকেরা এসে উপস্থিত হয়েছেন।

২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শাসকদলের শেষ ২১শে জুলাই। এদিকে চলতি বছর এই দিনটি আবার পড়ছে সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবারে, আর সেই কারণে এবার সাধারণ মানুষের পরিবহন ব্যবস্থায় সমস্যার পাশাপাশি স্কুলের মিড ডে মিল নিয়েও তৈরি হল মহা সমস্যা।

২১ জুলাইয়ে মিড ডে মিল নিয়ে সমস্যা

প্রতি বছরের মতো এই বছরও ২১ জুলাইয়ে বড় সমাবেশের আয়োজন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ধর্মতলার উপকণ্ঠে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু দলীয়কর্মী সমর্থকরা হাজির থাকবেন এই সমাবেশে। শুধু দলীয় কর্মী-সমর্থকরা নয়, সমাবেশে যোগ দেবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর শাসক দলের সমর্থক কর্মীরাও। তাই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে মিড ডে মিল তৈরি হওয়া নিয়ে এক নয়া সমস্যায় পড়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই কারণে এবার সেই সমস্যা রোধ করতে শিক্ষকেরাই ধরতে চলেছেন হাতা-খুন্তি।

‘আনন্দবাজার’ এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মিড ডে মিলের ক্ষেত্রে শহরতলি ও জেলার স্কুলগুলিতে রান্না করা হয় স্কুলের রান্নাঘরে। কলকাতায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কিচেন ক্যান্টিন থেকে রান্না আসে বেশিরভাগ স্কুলে। যে সব স্কুলে পর্যাপ্ত জায়গা আছে সেখানে রান্না করেই খাওয়ানো হয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে আগামীকাল সেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কিচেন ক্যান্টিন বন্ধ থাকবে, ফলে মিড ডে মিল কারা রাঁধবেন বা পরিবেশন করবেন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। সেক্ষেত্রে কয়েকটি বিদ্যালয়ে শুকনো খাবার পরিবেশনের কথাও চিন্তা করা হয়েছে।

পড়ুয়াদের জন্য রান্না করবেন শিক্ষকেরাই!

এমতাবস্থায় নারায়ণ দাস বাঙ্গুর ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, ‘‘মিড ডে মিল যাঁরা রান্না করেন, তাঁরা ইতিমধ্যে এই সমাবেশে যাওয়ার জন্য ছুটি চেয়েছেন আগেই। তাই আমরা ঠিক করেছি, বাচ্চাদের মিড ডে মিল আমরা শিক্ষকেরা মিলে রান্না করে খাওয়াবো।’’ অন্যদিকে বেশিরভাগ স্কুল মিড ডে মিলে শুকনো খাবারের বন্দোবস্ত করেছে। চেতলা বয়েজ স্কুলের ক্ষেত্রে মিড ডে মিলের রান্না আসে কিচেন ক্যান্টিন থেকে।

আরও পড়ুন: সরকারি পরীক্ষায় ‘বন্দ্যোপাধ্যায়’ হয় ‘ST’! বিতর্ক বাড়তেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাফাই PSC-র

কী বলছেন রাজ্য স্তরের প্রজেক্ট ডিরেক্টর?

গত বছর একুশে জুলাইয়ের সময়ও এই চেতলা বয়েজ স্কুলে মিড ডে মিলের বদলে দেওয়া হয়েছিল শুকনো খাবার। এ বছরও হয়তো সেই বন্দোবস্ত করা হয়েছে। যদিও এখনো পর্যন্ত স্কুল কর্তৃপক্ষকে এই ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। এই বিষয়ে মিড ডে মিলের রাজ্য স্তরের প্রজেক্ট ডিরেক্টর অশ্বিন রাঠোর বলেন, ‘‘এই ধরনের কোন‌ও অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। যদি এই ধরনের কোন‌ও ঘটনা ঘটলে আমরা কড়া পদক্ষেপ করব।’’

অন্য দিকে, এই ঘটনা নিয়ে পর্ষদে যোগাযোগ করা হলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক কর্তা জানিয়েছেন, এই বিষয়টি সমগ্র শিক্ষা মিশনের অধীনে শিক্ষা দফতর থেকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই তাঁদের কোনও বক্তব্য নেই।

Leave a Comment