প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বিগত কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে একাধিক এলাকায়। তার উপর ব্যারেজ থেকে ক্রমেই ছাড়ছে জল, যার ফলে অজয়-ভাগীরথীর জল আরও বেড়েছে। আর এই জলস্তর বৃদ্ধির ফলে কাটোয়ার পানুহাটের দরানি পাড়া ও নদীয়ার নয়াচর ভাগীরথীর জলে প্লাবিত হয়েছে। বিপুল ক্ষতির মুখে কৃষি এবং বিপুল ক্ষতির মুখে ঘরবাড়ি এবং কৃষি ক্ষেত্র।
বেড়েই চলেছে জলস্তর!
‘HT বাংলার’ রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই রাত থেকেই গ্রামে জল ঢুকেছে৷ ক্রমাগত জল বাড়তে থাকায় রাস্তার উপরে কোমর পর্যন্ত জল জমে গিয়েছে৷ যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। এদিকে বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষিজমিতে জল ঢুকেছে৷ বিভিন্ন ব্যারেজ থেকে ছাড়া জল ও বৃষ্টিতে আচমকা ভাগীরথীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় বিপদ বাড়ছে। যদিও এখনো চূড়ান্ত বিপদসীমার নীচেই রয়েছে। কিন্তু তবুও কাটোয়া শহরের কাঠগোলা পাড়া, হরিসভা পাড়া, শ্মশানঘাট এলাকায় ভাগীরথীর জল বাড়ার সঙ্গে স্রোতও বেড়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি ব্যবস্থা
এইভাবে গ্রামে গ্রামে জলস্তর বাড়তে থাকায় বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। জমিতে পটল আর পাটের চাষ হয়েছিল, সবই জলের তলায় চলে যাচ্ছে। বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, বাড়ির ভেতরেও জল ঢুকে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বাসিন্দাদের দাবি, শুক্রবার সকাল থেকে নয়াচর, দরানিপাড়া, কাঠগোলাপাড়া, হরিসভাপাড়া, শ্মশানঘাট এই সব নদীতীরবর্তী এলাকাগুলিতে স্রোতের সঙ্গে জলস্তরও ক্রমেই বেড়ে চলেছে।অন্যদিকে, বিপদসীমা ছুঁয়েছে ফেরিঘাট অঞ্চলে।
আরও পড়ুন: আদালতে যাচ্ছে না নির্যাতিতা! IIM ধর্ষণকাণ্ডে শর্তসাপেক্ষ জামিল পেল অভিযুক্ত
ফেরি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন
এইমুহুর্তে কাটোয়ার শাঁখাই ও বল্লভপাড়া ফেরিঘাট পুরোপুরি জলের তলায়। ভাগীরথীর সঙ্গে অজয়ের মিলনস্থলও এখন জলমগ্ন। যার ফলে কাটোয়ার শাঁখাই ফেরিঘাটে ভাসমান জেটির অবস্থান ইতিমধ্যেই দু’বার বদলাতে হয়েছে। পাশাপাশি দাঁইহাটের মাটিয়ারি ফেরিঘাটে ফেরি চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে, কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর সাহা জানিয়েছেন যে, আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। জলস্তর এখনও চূড়ান্ত বিপদসীমা পার না করলেও বর্তমান পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন স্থানীয় প্রশাসন ও বাসিন্দারা।