প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: খবরের প্রায় উঠে আসে জমি বিতর্কিত একাধিক সমস্যা। হয় একদিকে শোনা যায় একের জমি অন্য কেউ বিক্রি করে দিয়েছে তো আবার কখনও শোনা যায় ভুয়ো তথ্যের মাধ্যমে দালালি করে জমি বিক্রি হচ্ছে। তাই এই সকল জমি বা বাড়ি রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও নিরাপদ করতে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। নিয়ে আসা হতে চলেছে ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তি।
রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া হবে আরও নিরাপদ!
এই মুহুর্তে রেজিস্ট্রেশনের সময় ক্রেতা, বিক্রেতা এবং সাক্ষীকে দশ আঙুলের বায়োমেট্রিক দিতে হয়। সেই সঙ্গে তাঁদের ছবি তুলে রাখা হয়। দিতে হয় ই-সিগনেচার। রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রারের সামনেই এই ধাপগুলি সারতে হয়। তবে এবার সেই রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি যুক্ত হবে আরও এক নয়া পদ্ধতি।
জানা গিয়েছে, ফেস রেকগনিশনের মাধ্যমে ভেরিফিকেশন বা যাচাই পদ্ধতি হবে। এই পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির ক্রেতা, বিক্রেতা ও সাক্ষীর মুখমণ্ডল ‘স্ক্যান’ করা হবে রেজিস্ট্রারের সামনেই। ‘জিও-ফেন্সিং’ প্রযুক্তির মাধ্যমে এই অ্যাপ ব্যবহারের পরিসর সীমাবদ্ধ রাখা হবে নির্দিষ্ট অফিস এলাকায়।
নয়া প্রযুক্তি নিয়ে কী বলছে প্রশাসন?
কিন্তু কবে থেকে এই নিয়ম চালু হবে তা নিয়ে যদিও এখনও কিছু স্পষ্ট তথ্য দেয়নি প্রশাসন। তবে রাজ্যের রেজিস্ট্রেশন ও স্ট্যাম্প ডিউটি দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, অ্যাপটির প্রযুক্তিগত অডিট প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে গিয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে খুব শীঘ্রই রাজ্যের রেজিস্ট্রি অফিসগুলিতে এই নতুন ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে।
আশা করা যাচ্ছে প্রশাসনের এই আধুনিক উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে ভুয়ো জমি বিক্রির মতো ঘটনা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠবে। পাশাপাশি আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে ফেস ভেরিফিকেশনকেই পরিচয় যাচাইয়ের জন্য যথাযোগ্য ধরা হবে।
আরও পড়ুন: বাঙালি ইস্যুতে মমতাকে বিঁধতেই জুটল ‘ফ্লপ অভিনেত্রী’র কটাক্ষ, পাল্টা দিলেন ‘অনুপমা’ রুপালী
এছাড়াও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যে, রাজ্যে এই ফেস রেকগনিশনের নয়া প্রযুক্তি চালু হলে আর হাতের বায়োমেট্রিকে বারবার ব্যর্থতার সমস্যা থাকবে না। ফেস রিকগনিশনেই অনেক দ্রুত, নির্ভুল এবং সহজলভ্য হয়ে উঠবে গ্রাহকের কাছে। আর এই ব্যবস্থা সফলভাবে চালু হলে পশ্চিমবঙ্গ হবে দেশের প্রথম রাজ্য, যেখানে জমি বা বাড়ি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ফেস স্ক্যানের মাধ্যমে পরিচয় যাচাই বাধ্যতামূলক হয়ে উঠবে। এবং জমির মালিকানা নিয়েও ভবিষ্যতে আর কোনও বিতর্ক থাকবে না।