প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ভিন রাজ্যে বাঙালিদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগে বিজেপি এবং কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে মমতা সরকার। কিছুদিন আগে, ১৬ জুলাই , গত বুধবার বিজেপিশাসিত রাজ্যের এই অত্যাচারে রাজপথে নেমে মিছিল বের করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন যে অবিলম্বে যদি অত্যাচার বন্ধ না হয় তাহলে দেশজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার সেই হুঁশিয়ারি উড়িয়ে দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। আসলে সবই নাকি ভোটের জন্য তৃণমূলের কারসাজি।
বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। দেখতে দেখতে হাতে বাকি আর মাত্র কয়েকটা মাস। আর এই সময়টাকেই তাই ভোট প্রস্তুতির উপযুক্ত সময় হিসেবে বিবেচিত করে ময়দানে নেমে পড়ল একের পর এক রাজনৈতিক দল। গত ২৫ জুন ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে ছাব্বিশের ভোট নিয়ে বড় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জনসমক্ষে বেশ জোর গলায় দাবি করেছিলেন যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি ৫০ টা আসন আদেও পাবে কিনা সন্দেহ আছে।
বিজেপির ভোট নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী অভিষেকের
আসলে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি ২০০-র বেশি আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল। কিন্তু জিতেছিল মাত্র ৭৭টি আসন। তাই সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় কটাক্ষের সুরে বলেছিলেন, “২০২১ সালে তো বিজেপির চাকা ৭৭-এ আটকে গিয়েছিল। আমি আপনাদের কথা দিয়ে গেলাম, ২০২৬ সালের লড়াইয়ে এ বার ৫০-এর নীচে থাকবে। আমি ভবিষ্যদ্বাণী করি না। যদি ভবিষ্যদ্বাণী করি, তা ঈশ্বরের কৃপায় মানুষের ভালবাসায় অল্প হলেও মেলে।” তবে এবার সেই মন্তুবকে ঘিরে পাল্টা জবাব দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। বললেন, “ভোটার লিস্ট থেকে ভুয়ো ভোটার বের করে দিলে তৃণমূল ৭০টা সিটও পাবে না।”
পাল্টা জবাব মিঠুনের
রাজ্যে ভোটার তালিকা নিয়ে একের পর এক ইস্যু তৈরি হয়েই চলেছে। সমীক্ষার মাধ্যমে উঠে আসছে অনুপ্রবেশকারী অসংখ্য ভুয়ো ভোটারের নাম। আর এবার সেই ইস্যু তুলে ধরে রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে বড় দাবি করলেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এদিন নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে মিঠুনের দাবি, “ভোটার লিস্ট থেকে ভুয়ো ভোটার বের করে দিলে তৃণমূল ৭০টা সিটও পাবে না। তাই ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ হতেই তা আটকাতে তৃণমূল উঠে পড়ে লেগেছে। ”
আরও পড়ুন: ভিনরাজ্য দূর, এ রাজ্যেই শাসানির শিকার বাঙালি! তৃণমূল বিধায়কের ভিডিও পোস্ট শুভেন্দুর
এছাড়াও এদিন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী সাধারণ জনগণকে নির্দেশ দিয়েছে সকলে যেন রাজ্যে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কমিশনকে যথাযোগ্য সাহায্য করে। সেক্ষেত্রে একদমই যেন তৃণমূলের এই আক্রমণের সামনে মাথা নত না করেন। এমনকি বাংলার সমস্ত নাগরিককে আহ্বান জানিয়ে মিঠুন বলেন, “প্রতিটি এলাকায় কর্মীদের বলব, খোঁজখবর শুরু করুন, কারা অনুপ্রবেশ করে বাংলায় রয়েছে। কারও ওপর কোনও আক্রমণ হলে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।”এজন্য দুটি ফোন নম্বরও এদিন দেন বিজেপি নেতা।