প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নিত্যদিন শত ব্যস্ততার মাঝে আটকে থাকলেও অনেকেরই মন পড়ে থাকে দূরে কোনো নিরিবিলি শান্ত স্নিগ্ধ জায়গায়। যেখানে থাকবে না কোনো তাড়াহুড়ো থাকবে না কোলাহল, শুধুই শান্তি আর শান্তি। সেই কারণে অনেকেই হাতে ২-৩ দিনের ছুটি পেলেই ব্যাগপত্র নিয়ে ঘুরে আসে কাছে দূরে বিশুদ্ধ অক্সিজেনের খোঁজে। আজ আমাদের প্রতিবেদন আপনাদের জন্য এমন এক মেঘ-পিওনের দেশের ঠিকানা দেবে যেখানে গেলে শরীর এবং মন দুটোই শান্তি পাবে।
এইমুহুর্তে কলকাতায় রোদ বৃষ্টির এক বিরক্তিকর আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। সঙ্গে ভ্যাপসা গরম তো রয়েছেই। তাই এই আবহাওয়া থেকে মুক্তি পেয়ে অনেকেই ভ্রমণের জন্য জায়গা পরিকল্পনা করতে বসেছেন। আচ্ছা আপনারা কি পাহাড়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন? তাহলে সেক্ষেত্রে ঘুরে আসতে পারেন কালিম্পংয়ের ছোট্ট গ্রামে রংগো- তে। অত্যন্ত সুন্দর জায়গা। প্রকৃতি যেন উজাড় করে দিয়েছে পাহাড়ের এই গ্রামকে। চলুন একনজরে সম্পূর্ণটা জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
ঘুরে আসুন এই পাহাড়ি গ্রামে!
এইমুহুর্তে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় হালকা থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েই চলেছে। আর সেক্ষেত্রে পাহাড়ে ধসের ভয় থাকে। তবে যদি এই ছোটখাটো সমস্যা এড়ানো যায়, তা হলে বর্ষা উপভোগের সেরা জায়গা হতে পারে পাহাড়ে ঘেরা গ্রাম। কালিম্পংয়ের এই জায়গায় পর্যটকদের আনাগোনা অনেকটাই কম। তাই এখানে নিরিবিলি শান্ত পরিবেশ উপভোগ করতে অনেকেরই মন চায়। পাহাড়ি কাঠের ছোট ছোট বাড়িগুলিতে পাহাড়ি সরল জীবনযাত্রায় মন চাইবে না আর ফিরে আসতে। রংগোতে জলঢাকার উপর দিয়ে ছোট্ট একটি কাঠের সেতু তৈরি করা হয়েছে। সেখান দেখে দেখা যায় নদীর আপন বেগে ছুটে চলেছে।
আরও পড়ুন: নিজের নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করে গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা! গুরুতর অভিযোগ তরুণজ্যোতির
কীভাবে যাবেন সেখানে?
অন্যদিকে জলঢাকার সামনেই রয়েছে দলগাঁও ভিউ পয়েন্ট। খুব সুন্দর বাঁধানো চত্বর। সারি সারি সিঙ্কোনা গাছের মেলা। যেন প্রকৃতির এক অপরূপ মায়া। পুরো গ্রামটি উপভোগ করার জন্য সেক্ষেত্রে ২-৩ দিনই যথেষ্ট। তবে এখানে থাকার জন্য হোটেল পাওয়া খুব দুষ্কর, এর বদলে এখানে অনেক হোম স্টে রয়েছে। তাই দেরি না করে পাহাড়ি আতিথেয়তা উপভোগ করতে হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে নিউ মাল জংশনে চেপে সোজা চলে আসুন। সেখানে ৪০ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে এই গ্রাম। তবে যাওয়ার আগে অবশ্যই সেখানকার আবহাওয়া এবং রাস্তাঘাট সম্পর্কে সম্পূর্ণ আপডেট জেনে নেবেন।