বিশ্বের সবথেকে বিশ্বস্ত ও সেরা নেতার তালিকায় ১ নম্বরে নরেন্দ্র মোদী, বহু পিছিয়ে ট্রাম্প

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মুকুটে নয়া পালক! আবারো বিশ্ব মঞ্চে তিনি নিজের কৃতিত্ব দেখালেন। সাম্প্রতিক এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় এবং বিশ্বাসযোগ্য নেতা হিসেবে তার নাম সবার প্রথমে উঠে এল।

মর্নিং কনসাল্ট গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রুভাল ট্র্যাকারের নতুন তালিকায় 75 শতাংশ অ্যাপ্রুভাল রেটিং পেয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অর্থাৎ, প্রতি চারজনের মধ্যে তিনজন মানুষের মতে নরেন্দ্র মোদি একজন দক্ষ, বিশ্বস্ত ও জনপ্রিয় নেতা।

কী এই মর্নিং কনসাল্ট রেটিং?

জানিয়ে রাখি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মর্নিং কনসাল্ট হল একটি বিজনেস ইনটেলিজেন্স সংস্থা। এরা গোটা বিশ্বের বড় বড় নেতাদের জনপ্রিয়তার উপর ভিত্তি করে গ্লোবাল লিডার অ্যাপ্রভাল রেটিং প্রকাশ করে। আর এই সমীক্ষা 4 থেকে 10 জুলাই পর্যন্ত হয়। এতে অংশগ্রহণকারীরা ছিলেন বিভিন্ন দেশের প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিক। আর তাদের সাত দিনের গড় মতামতের উপর ভিত্তি করেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

কে কোথায় রয়েছেন?

এ বছরের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেরা 10 নেতার তালিকার মধ্যে সবথেকে এগিয়ে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাকিদের স্থান নীচে আলোচনা করা হল—

  • তালিকার প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যার অনুমোদনের হার 75%।
  • দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার লি জে মিয়ং, যার অনুমোদনের হার 59%। 
  • তৃতীয় স্থানে রয়েছে আর্জেন্টিনার জেভিয়ার মিলেই, যার অনুমোদনের হার 57%। 
  • চতুর্থ স্থানে রয়েছে কানাডার মার্ক কার্নি, যার অনুমোদনের হার 56%।
  • পঞ্চম স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্টোনি অ্যালবানিস, যার অনুমোদনের হার 54%। 
  • ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে মেক্সিকোর ক্লডিয়া শেইনবাউম, যার অনুমোদনের হার 53%।
  • সপ্তম স্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ডের কারিন কেলার সাটার, যার অনুমোদনের হার 48%।

তালিকার অষ্টম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প, যার অনুমোদনের হার মাত্র 44%।Narendra Modi

আরও পড়ুনঃ বিহারের সাংবাদিকদের পেনশন ৬ হাজার থেকে বেড়ে ১৫ হাজার! ঘোষণা নীতিশ কুমারের

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তার নেপথ্যে রহস্য কী?

বেশ কিছু বিশ্লেষক বলছেন, নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তার পিছনে কয়েকটি বড়সড় কারণ রয়েছে। প্রথমত, দেশ এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তার দৃঢ় অবস্থান। দ্বিতীয়ত, উন্নয়নমূলক প্রকল্প এবং দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ইস্যুতে সরাসরি অংশগ্রহণ এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ রাখার কৌশলের মাধ্যমেই তিনি সেরার সেরা তকমা অর্জন করেছেন।

Leave a Comment