প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বিহারের পর যে বাংলায় ভোটার তালিকা সংশোধন কাজ শুরু হতে চলেছে তা বেশ ভালো করেই বুঝতে পারছে রাজ্যবাসী। যদিও এখনও সরকারিভাবে SIR নিয়ে কোনো ঘোষণা করা হয়নি। এমতাবস্থায় ভুয়ো ভোটার নিয়ে উঠতে বসতে বিতর্ক হয়েই চলেছে শাসকদল এবং বিরোধী দলগুলির মধ্যে। এমনকি কিছুদিন আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন যে বাংলায় SIR হলেই প্রায় ৯০ লক্ষ নাম বাদ যাবে। আর এবার বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার ভুয়ো ভোটারের সংখ্যা বার করলেন তিনি।
ভুয়ো মুসলিম ভোটারের তালিকা প্রকাশ শুভেন্দুর
প্রথম থেকেই বঙ্গে ভোটার তালিকার SIR নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তা নিয়ে পাল্টা মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। এমতাবস্থায় শুভেন্দু অধিকারী আজ অর্থাৎ শুক্রবার, ১ আগস্ট, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ভুয়ো ভোটারের তালিকা পোস্ট করেন। এবং সেখানে লিখেছেন যে, ”বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার ১০১, ১০২, ১০৪, ১০৫ নং বুথগুলিতে ১০০% হিন্দুদের বসবাস। একজনও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস না থাকা সত্ত্বেও ভোটার লিস্টে মুসলিম ভোটারদের নাম উঠে এসেছে, যারা আদপেই ভারতীয় নাগরিক নন, সকলেই বাংলাদেশী। ১০২ নং বুথের এই ভোটার তালিকা সর্বসমক্ষে তুলে ধরলাম। এই বুথটিতে বসবাসকারী সকলেই হিন্দু ভোটার, অথচ ভোটার তালিকায় ৩২ জন মুসলিম ভোটারের নাম বিদ্যমান। যারা ঐ বুথের বাসিন্দাই নন।”
প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তাকে আবেদন শুভেন্দুর
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন তাঁর ফেসবুক পোস্টে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তাকে মেনশন করে রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করে জানিয়েছেন যে, “রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভার বেশীরভাগ বুথের ভোটার তালিকায় অনেক ভুয়ো ভোটার বিদ্যমান। তাই সেক্ষেত্রে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু করা উচিত করতে হবে। তবেই এই ধরনের ভুতুড়ে বিদেশী ভোটারের নাম বাদ পড়বে। কারণ এরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক, এই কারণেই এই সব ভুয়ো নাম বাদ পড়ার সম্ভাবনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আতঙ্কিত।”
আরও পড়ুন: গঙ্গার নীচের পর এবার চালকহীন মেট্রো, রবিবারই পরীক্ষা, বন্ধ থাকবে গ্রিন লাইন ২
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই বোলপুরের সভা থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, “কোনও নির্দেশ এলে মুখ্যসচিবকে জানাবেন। আমাদের না জানিয়ে হুটপাট সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচ্ছেন। কখনও এই জিনিস হয়নি। ভয় দেখালেই আপনারা ভয় পাবেন! তাহলে ঘরে বসে থাকুন।” এমনকি BLO-দের ভোটার তালিকা থেকে নাম বাতিলের পদ্ধতি অত্যন্ত ভেবে চিন্তে করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন, যা নিয়ে এখনও সেই বিতর্ক তুঙ্গে।