প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কলকাতা শহরে কেউ বেআইনি নির্মাণ করলে কলকাতা পুরসভা আইন মেনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে পুর কর্তৃপক্ষ পুর আইন অনুযায়ী, চাইলে বিনা নোটিসেই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দিতে পারে। কিন্তু তার মধ্যেই অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে, যার ফলে সেই সুযোগ নিয়েই অনেকে গোটা শহরজুড়ে চালিয়ে যায় অবৈধ নির্মাণ। এমতাবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে একাধিক স্মৃতিসৌধের দখল নিয়ে বড় আপডেট দিলেন কেন্দ্রের পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত।
রাজ্যের স্মৃতিসৌধ দখল নিয়ে প্রশ্ন সংসদে
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার এক লিখিত প্রশ্নে বঙ্গের বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য কেন্দ্রের পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতকে প্রশ্ন করেছিলেন যে, পশ্চিমবঙ্গে কতগুলি স্মৃতিসৌধ রয়েছে দখলদারির কবলে? সেই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রের পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছেন। তিনি বলেছেন যে, ASI-এর রায়গঞ্জ সার্কেলের আওতাধীন ৫২টি সংরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ এবং এলাকার মধ্যে ২৮টি স্থানে অননুমোদিত নির্মাণ এবং পাঁচটি স্মৃতিস্তম্ভে দখলের খবর পাওয়া গেছে।
নির্মাণ সম্পর্কিত অভিযোগ সরকারের কাছে!
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল কেন্দ্রের পেশ করা রিপোর্টে ৫২টি ঐতিহাসিক স্তম্ভের মধ্যে চাঞ্চল্যকরভাবে ৩৩টি ঐতিহাসিক স্থাপত্য এখনও দখলদারির কবলে রয়েছে এবং বেআইনি নির্মাণে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় রয়েছে। তালিকায় কোচবিহারের রাজবাড়ী থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি প্যালেস কিংবা পাণ্ডুয়ার আদিনা মসজিদ সহ একাধিক ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্মৃতিসৌধ এখন পশ্চিমবঙ্গে দখলদারির কবলে রয়েছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিশ্চুপ।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে দেখে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, সেই শেখ মইদুলকে সংবর্ধনা জানাল তৃণমূল
এদিকে, অবৈধ স্মৃতিসৌধ নির্মাণের প্রসঙ্গ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। তাঁরা বারংবার স্টপ নোটিস দিলেও এবং উচ্ছেদ করা হলেও আবার কিছুদিন বাদে পুনরায় তাঁরা ফিরে আসে। এই নিয়ে পুলিশের কাছে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ জানানো থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসনকে চিঠি দিলেও তবু রাজ্য প্রশাসন নীরব ও নিষ্ক্রিয়।