সহেলি মিত্র, কলকাতা: বাংলার রেল (Indian Railways) ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিরাট বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। জানলে খুশি হবেন, সাধারণ মানুষের কথা ভেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আলুয়াবাড়ি রোড এবং নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) এর মধ্যে আরও দুটি রেলপথ স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে আলুয়াবাড়ি রোডটি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর শহরে অবস্থিত, আর NJP জলপাইগুড়ি জেলার শিলিগুড়ির দক্ষিণ উপকণ্ঠে অবস্থিত। স্টেশনগুলি ৫৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং শিলিগুড়ি করিডোর বা চিকেন’স নেক এলাকায় অবস্থিত, যা কিনা ভারতের সবচেয়ে পাতলা অংশ।
বাংলার রেল ব্যবস্থা নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
আলুয়াবাড়ি রোড-এনজেপি সেকশনে বর্তমানে দুটি রেললাইন রয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে (এনএফআর) সূত্রে জানা গিয়েছে যে প্রকল্পটির জন্য ১,৭৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই বিষয়ে এনএফআরের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা (সিপিআরও) কে কে শর্মা জানিয়েছেন, “এই প্রকল্পের লক্ষ্য দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে পরিবহন অবকাঠামোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করা। অতিরিক্ত ট্র্যাক চালু করার মাধ্যমে, এটি যানজট কমাবে, যাত্রী এবং মালবাহী ট্রেন উভয়েরই আরও দক্ষ এবং দ্রুত চলাচলের সুযোগ করে দেবে. এর ফলে ভ্রমণের সময় কমবে এবং পরিষেবার সামগ্রিক নির্ভরযোগ্যতা উন্নত হবে।”
अलुआबाड़ी से न्यू जलपाईगुड़ी के बीच तीसरी और चौथी लाइन नॉर्थ ईस्ट की कनेक्टिविटी के लिए बहुत जरूरी है। इस कॉरिडोर में पहले से डबल लाइन है। तीसरी और चौथी लाइन बनाने से इसकी कैपिसिटी दोगुनी हो जाएगीः माननीय रेल मंत्री श्री @AshwiniVaishnaw pic.twitter.com/vfi4kFnREa
— Ministry of Railways (@RailMinIndia) July 31, 2025
রেল কর্তা আরো জানান, “রেল পরিবহনের ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে কেবল বিদ্যমান অবকাঠামোর উপর চাপ কমবে না বরং চা, কাঠ এবং কৃষি পণ্যের মতো পণ্য পরিবহনও সহজ হবে। এটি স্থানীয় ও আঞ্চলিক অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে।” তাঁর মতে, আলুয়াবাড়ি রোড এবং এনজেপির মধ্যে রেললাইনের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রকল্পটি দিল্লি-গুয়াহাটি উচ্চ-ঘনত্বের নেটওয়ার্ক রুটের একটি অংশ এবং ভুটান, বাংলাদেশ এবং নেপালের সাথে আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছাকাছি থাকার কারণে এটি কৌশলগত গুরুত্ব বহন করে।
উপকৃত হবেন যাত্রীরা
এই রুটটি বিহারের কিষাণগঞ্জ জেলা এবং বাংলার জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এবং উত্তর দিনাজপুর জেলার মধ্য দিয়ে যায়। কে কে শর্মা জানান, “অবকাঠামোগত উন্নয়নের মধ্যে থাকবে সাতটি স্টেশন, ৯৯টি সেতু এবং তিনটি সড়ক ওভারব্রিজ এবং আটটি সড়ক আন্ডারব্রিজ নির্মাণ। এর লক্ষ্য হল ২১.৬ মিলিয়ন টন অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন সহজতর করা, যার ফলে লজিস্টিক খরচে ২,৫৫১ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। এটি প্রতি বছর ২.১৪ কোটি লিটার ডিজেল সাশ্রয় করে জ্বালানি সংরক্ষণেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।” যাইহোক, কেন্দ্রের এহেন উদ্যোগের ফলে আগামী দিনে ব্যাপকভাবে লাভবান হবেন যাত্রীরা।