প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের আরও এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্ষণের চিত্র ফুটে উঠল বাংলার বুকে! এবার পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করল ঢোলাহাট থানার পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা এলাকায়। ধৃত ব্যক্তির কড়া শাস্তির দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের
ঠিক কী ঘটেছে?
সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা এলাকায়।সেখানকার ঢোলাহাট থানার দিগম্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঁতুলিয়ার ইন্দ্রনারায়ণপুর সুকান্ত-নজরুল মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদে রয়েছেন স্বপনকুমার বারিক। তাঁর অভব্য আচরণ বেশ কয়েকদিন ধরেই অস্বস্তিতে ফেলছে ছাত্রীদের। অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক, স্কুলের মধ্যেই নাকি পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছেন। চুপ করে থাকেনি সেই নাবালিকা, বাড়ি ফিরেই ওই প্রধান শিক্ষকেরা বিরুদ্ধে সব কথা জানিয়ে দেওয়া হয় পরিবারের সদস্যদের কাছে।
গ্রেফতার প্রধান শিক্ষক
প্রধান শিক্ষক স্বপনকুমার বারিকের এই অসভ্যতামির কথা মেয়ের মুখ থেকে শোনা মাত্রই গত বুধবার, পরিবারের তরফে সুন্দরবন পুলিশ জেলার ঢোলাহাট থানায় ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ জমা হতেই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করে। এবং এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার দুপুরে ধৃতকে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে। ধৃত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে এই ঘটনায় চুপ থাকেনি বিজেপি। রীতিমত এই ঘটনাকে ঘিরে প্রতিবাদের ডাক দিল বিজেপি।
আরও পড়ুন: TMCP-র প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা! দিন বদলের জন্য চিঠি শিক্ষা দফতরের
রাস্তা অবরোধ বিজেপির
গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার, দুপুরে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির নেতৃত্বদের সঙ্গে নিয়ে নির্যাতিতা ছাত্রীর বাড়িতে যান বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। সেখানে পরিবার এবং নির্যাতিতার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলার পর এদিন বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ঢোলাহাট থানার সামনে রাস্তার উপর বসে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল সহ শতাধিক কর্মী সমর্থক। প্রায় আধ ঘণ্টার বেশি সময় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ঢোলাহাট জুমাই নস্কর রোড। পরে পুলিশি ব্যবস্থায় স্বাভাবিক হয় পরিবহন ব্যবস্থা।