স্থায়ী বাসিন্দার সার্টিফিকেট পেতে আবেদন ভগবান রাম, সীতা থেকে কাকের! আজব কাণ্ড বিহারে

Crow Bihar Residential Certificate

সহেলি মিত্র, কলকাতা: এবার আবাসিক শংসাপত্রের জন্য আবেদন জানালেন রাম-সীতা! শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই সত্যি। শুধু তাই নয়, এখন কাকও নিজের বাড়ির জন্য শংসাপত্র নেওয়ার জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে! না না চমকাবেন না, ইতিহাসের পাতা থেকে কেউ উঠে আসেননি। আসলে বিহারে এমনই কিছু আবেদনকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রশাসনের কাছে রাম, সীতা, কাকের নামে আবাসিক শংসাপত্রের (Bihar Residential Certificate) জন্য আবেদন এসেছে। এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে চারিদিকে। আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।

বিহারে আজব ঘটনা!

অমর উজালার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিহারের খাগারিয়া জেলার চৌথাম, গোগরি এবং খাগারিয়া জোনে অনলাইন আবাসিক শংসাপত্রের জন্য কিছু আশ্চর্যজনক আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এই আবেদনপত্রগুলিতে ভগবান শ্রী রাম, মা সীতা, কাক, ময়নার নামেও শংসাপত্রের দাবি করা হয়। চৌথাম জোন অফিসের সার্কেল অফিসার (সিও) যখন এই অস্বাভাবিক আবেদনগুলি লক্ষ্য করেন এবং তাৎক্ষণিক তদন্তের নির্দেশ দেন।

ভগবান রাম ও সীতার নামে ভুয়ো আবেদনপত্র!

একটি আবেদনে ভগবান রামের নামে একটি আবেদন দাখিল করা হয়েছিল, যেখানে বাবার নাম লেখা ছিল ‘দশরথ’, মায়ের নাম ছিল ‘কৌশল্যা’ এবং গ্রামের নাম ছিল ‘অযোধ্যা’। অন্যদিকে, মা সীতার নামে দাখিল করা আবেদনে বাবার নামের জায়গায় ছিল ‘রাজা জনক’ এবং পঞ্চায়েতের নাম ছিল ‘অযোধ্যা’। অন্য একটি আবেদনে, আবেদনকারীর নাম ‘কৌওয়া সিং’, বাবার নাম ‘কৌওয়া’ এবং মায়ের নাম ‘ময়না দেবী’, যেখানে ছবির জায়গায় একটি কাকের ছবি অবধি দেওয়া ছিল।

আরও পড়ুনঃ আনলিমিটেড কলিং, দৈনিক 2GB ডেটা সহ SMS মাত্র 1 টাকায়, আজাদি প্ল্যান লঞ্চ করল BSNL

ঘটনা প্রসঙ্গে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, RTPS পোর্টালের মাধ্যমে সরকারি শংসাপত্র প্রদানের প্রক্রিয়াকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে প্রায় এক ডজন এই ধরনের আবেদন করা হয়েছিল। আবেদনে দেওয়া মোবাইল নম্বর এবং অন্যান্য বিবরণও সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে প্রমাণিত হয়েছে। যাইহোক, স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসন সমস্ত আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে এবং সংশ্লিষ্ট থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে এই কাজটি সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার এবং বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। বিষয়টির গুরুত্ব দেখে, এনআইসি দিল্লিকে একটি চিঠি লেখা হয়েছে যাতে এই জাল আবেদনগুলি কোন আইপি ঠিকানা থেকে করা হয়েছিল তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এখন পুলিশ সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

যদিও এটা প্রথম নয়। এর আগে কুকুর থেকে সোনালিকা ট্র্যাক্টরও নাকি বিহারে স্থায়ী বাসিন্দার সার্টিফিকেট চেয়ে অনলাইনে আবেদন করেছিল।

Leave a Comment