বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতের সাফল্য সহ্য হয় না তাঁদের! তাই তো নিজেদের দুঃসময়েও প্রতিবেশীকে আক্রমণ করতে ভোলে না পশ্চিমের পড়শি! ক্রিকেটের ময়দানেও সেই চিত্র দৃশ্যমান।
ওভাল টেস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয় পেয়েছে ভারত। মহম্মদ সিরাজ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণাদের হাড় ভাঙা খাটুনির ফল পেতে বেশি সময় লাগেনি টিম ইন্ডিয়ার। পঞ্চম টেস্টের ময়দানে ইংরেজদের গুঁড়িয়ে সিরিজে সমতা এনেছে ভারত। আর তাতেই সমস্যা পাকিস্তানের?
শুভমন গিলদের পঞ্চম টেস্টের জয়কে কার্যত গোটা বিশ্ব সাধুবাদ দিলেও পাকিস্তান রয়ে গেছে, পাকিস্তানেই। সদ্য পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার শাব্বির আহমেদ দাবি করেছেন, ভারতীয় বোলাররা অসাধু উপায়ে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের আউট করেছেন। আসলে ভারতের বিরুদ্ধে বল বিকৃতির অভিযোগ এনে বিস্ফোরক দাবি করেছেন ওই প্রাক্তন পাক তারকা।
ভারতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি প্রাক্তন পাক তারকার
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পঞ্চম টেস্ট জিতেছে ভারত। শুভমন গিলদের পরিশ্রম যে বিফলে যায়নি তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ ড্র হওয়া টেস্ট সিরিজ। তবে ইংলিশদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের জয় একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না প্রাক্তন পাকিস্তানি ক্রিকেটার শাব্বির আহমেদ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শাব্বির লিখেছেন, আমার মনে হয় ভারত বলে ভেসলিন লাগিয়েছিল। তা না হলে 80 ওভার হওয়ার পরেই বল অতোটা চকচকে কীভাবে হয়। আম্পায়ারদের উচিত ছিল ওই বলটি গবেষণাগারে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করা। X হ্যান্ডেলে প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারের এমন মন্তব্যে সরব হয়েছেন বহু নেটনাগরিক।
ভারত বনাম ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজে গোটা ক্রিকেট মহল যেখানে ভারতীয় দলের প্রশংসায় মগ্ন ছিল, সেই পর্বে দাঁড়িয়ে সিরিজ শেষ হতেই ভারতের বিরুদ্ধে বুলি ছোটানো শুরু করল পাকিস্তান! ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে এমন অসংযত এবং অযৌক্তিক দাবি একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না সমর্থকরা। কেউ কেউ তো বলেই বসেছেন, ভারতের সাফল্য সহ্য হচ্ছে না ওদের! কেউ আবার পাকিস্তানের সব অপকৃতির কথা মনে করিয়ে টুকছেন ওই প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারকে!
অবশ্যই পড়ুন: ডুরান্ড কাপে ঘোড়া ছোটাচ্ছে মোহনবাগান! নক আউটের দৌড়ে কতটা এগিয়ে ৪ প্রধান?
উল্লেখ্য, ওভাল টেস্টে ইংল্যান্ডের বুকে শেষ তীর নিক্ষেপ করেছিলেন মহাম্মদ সিরাজ। এদিন ইংলিশ ব্যাটারদের একের পর এক উইকেট ভেঙে দলকে জেতানোর পর সিরাজ জানিয়েছিলেন, আহামরি কিছুই নয়! খুব সাধারন পরিকল্পনা ছিল। এর জন্য আলাদা করে কিছু ভাবিনি। শুধু লক্ষ্য ছিল ঠিক জায়গায় বল রাখার। আর তাতেই সাফল্য এসেছে।