প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: এবার কাশী, লখনউ, কিংবা জয়পুরের সঙ্গে দূরত্ব কমতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের। কারণ এবার দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে আকাশপথে যুক্ত হতে চলেছে উত্তর ভারতের তীর্থক্ষেত্রে ও অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র বারাণসী। পরিকাঠামো গত ব্যবস্থা ঠিকঠাক থাকলে আগামী অক্টোবর থেকেই চালু হতে চলেছে এই পরিষেবা। সোমবার অণ্ডাল বিমানবন্দরে এই গুরুত্বপূর্ণ কোঅর্ডিনেশন মিটিং হয়। সেখানেই এই পরিষেবা চালুর ব্যাপারে এই সম্ভাবনা উঠে আসে।
অণ্ডাল বিমানবন্দর নিয়ে বড় আপডেট!
বর্তমান পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, গত সোমবার অর্থাৎ ৪ আগস্ট এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান পশ্চিম জেলার জেলাশাসক পোন্নমবলম এস এবং বিমানবন্দরের ডিরেক্টর কৈলাশ মণ্ডল। সেখানে একাধিক প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে আলোচনার মধ্যেই উঠে আসে পশ্চিম বর্ধমানের অণ্ডাল বিমানবন্দরের পরিষেবা, পরিকাঠামো, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার নানা দিক। বৈঠকে সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অণ্ডালকে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে চান। সেই লক্ষ্যেই অণ্ডাল বিমানবন্দরকে আরও কার্যকর ও জনমুখী করতে একাধিক নতুন রুটে উড়ান চালুর বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা বিমানবন্দরে!
আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহার বৈঠকে এদিন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসে, তা হল এই বিমানবন্দরে এখনও পর্যন্ত কোনও অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু করা হয়নি। আর সেই তথ্য উঠে আসতেই সাংসদ জানান এমপি তহবিল থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স দ্রুত প্রদান করা হতে চলেছে যাত্রীদের জন্য। যাতে কোনো দুর্ঘটনা বা যাত্রী অসুস্থতার ঘটনা ঘটলে দ্রুত চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। ইতিমধ্যেই শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে নীলাচলধাম ও কামাখ্যা মন্দিরকে যুক্ত করেছে। অণ্ডাল থেকে ভুবনেশ্বর ও গুয়াহাটি বিমান পরিষেবা চালু হয়েছে। এবার কাশীর বিশ্বনাথ মন্দিরের সঙ্গে আকাশপথে জুড়তে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ। অক্টোবর থেকেই নাকি এই পরিষেবা চালু হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানের আগে নির্যাতিতার বাবা-মাকে পুলিশি নোটিস! হাইকোর্টে ছুটল পরিবার
উল্লেখ্য, সোমবার, অণ্ডাল থেকে দিল্লিগামী উড়ান বাড়ানো নিয়েও বৈঠকে আলোচনা করেন সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। একইসঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়া ও এয়ার এশিয়ার মতো বড় সংস্থার সঙ্গে সরাসরি উড়ান চালু করতে কীভাবে উদ্যোগ নেওয়া যায়, তাও আলোচনায় উঠে আসে। যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরের বাইরের অংশে এবং তাঁদের পরিবারের জন্য স্বতন্ত্র শৌচালয় তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে এখানে পরিবেশবান্ধব শিল্প গড়ে তোলার ভাবনাও আলোচিত হয়েছে। কিন্তু এই পরিষেবা সপ্তাহে ক’দিন, কোন সময়ে মিলবে-তা নিয়ে কোনো আপডেট এখনও পাওয়া যায়নি।