‘কোচবিহারে ৮ মাসের গর্ভবতীর পেটে লাথি’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ সুকান্তর

Dinhata

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বিশেষ করে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে উত্তেজনা চরমে আকার ধারণ করছে। ভাষা আন্দোলন, ভোটার তালিকা সংশোধন ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে তরজা লেগেই রয়েছে। তার উপর গত মঙ্গলবার, কোচবিহারে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে গিয়ে প্রাণঘাতী হামলার শিকার হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার সেই কোচবিহারের দিনহাটায় তৃণমূলের বর্বরতার শিকার হলেন এক বিজেপি নেত্রীর পরিবারের ৮ মাসের গর্ভবতী এক মহিলা।

ভাইরাল সেই ভিডিও

রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই নৃশংস বর্বরতার চিত্র সকলের সামনে তুলে ধরতে গতকাল অর্থাৎ ৭ আগস্ট তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি লিখেছেন, ’তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রয়ে থাকা এই সকল গুন্ডারা কতটা নিচে নামতে পারে শুধু সেটাই দেখুন। কোচবিহারের দিনহাটা নির্বাচনী এলাকা, শালমারা এলাকায় – বিজেপির আদর্শে বিশ্বাসী এবং গেরুয়া দলকে সমর্থন করার জন্য ৮ মাসের গর্ভবতী হিন্দু মহিলাকে পেটে নির্মমভাবে লাথি মারা হয়েছে। এ কেমন আইনহীন, অন্ধকার শাসনব্যবস্থা? কোন শাসনব্যবস্থা এমন দানবীয় আচরণের অনুমতি দেয়? বাংলার জনগণের নিরাপত্তা এবং মর্যাদার জন্য কে জবাবদিহি করবে? ক্ষোভ প্রকাশ করার জন্য কোনও ভাষা অবশিষ্ট নেই। আর মুখ্যমন্ত্রী নিজেও একজন মহিলা সেও নীরব, এমনকি তাঁরই তত্ত্বাবধানে রাজ্যজুড়ে নারীরা নির্যাতিত হচ্ছেন। খুবই লজ্জাজনক।’

কী ঘটেছিল সেদিন?

ঘটনাসূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কোচবিহারের দিনহাটার নাজিরহাট ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য যুথিকা বর্মণ, বিজেপি ৬ নম্বর মণ্ডল মহিলা মোর্চার সভানেত্রী মলিনা বর্মণ, বিজেপি কর্মী জিতেন্দ্র নাথ বর্মণ এবং বিজেপির প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি তরনী কান্ত বর্মণের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূলের কয়েকজন দুষ্কৃতী। অভিযোগ, হঠাৎ করেই পরিবারের সদস্যদের ব্যাপক মারধর করা হয়। সেই সময় দুষ্কৃতীরা ৮ মাসের গর্ভবতী এক মহিলার পেটে লাথি মারে। মারধরের পাশাপাশি ব্যাপক লুটপাট করে দুষ্কৃতীদল। গোটা ঘটনায় অভিযোগের তীর তৃণমূল কংগ্রেস অঞ্চল সভাপতি মদনমোহন বর্মণের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: বাংলায় SIR হলে দফতর এই মুহূর্তে প্রস্তুত, কমিশনকে জানাল রাজ্যের CEO

অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের

দিনহাটার নাজিরহাট ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য যুথিকা বর্মণের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস অঞ্চল সভাপতি মদনমোহন বর্মণের নেতৃত্বেই একদল দুষ্কৃতী এই হামলা চালায়। তবে তাঁর বিরুদ্ধে আসা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার এবং নস্যাৎ করে দেয় অভিযুক্ত মদনমোহন বর্মণ। তাঁর কথায় হামলার সময় নাকি এলাকায় তৃণমূলের একটা লোকও ছিল না। উল্লেখ্য কয়েক মাস আগে কলকাতা হাইকোর্ট আবেদনের ভিত্তিতে নাজিরহাটের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য যুথিকা বর্মণকে পুলিশি নিরাপত্তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নিরাপত্তার মধ্যেই এই ভয়ংকর হামলা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে আসছে।

Leave a Comment