সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ জেলা। বাদ যায়নি বর্ধমানও। জেলার বিভিন্ন এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছে রীতিমতো। প্রবল বৃষ্টিতে ফুঁসছে দামোদর নদী। এসবের মাঝেই এবার পূর্ব বর্ধমানে হুলুস্থুলু কাণ্ড। জলে ভেসে এল এমন এক জিনিস যাকে ঘিরে তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে চারিদিকে। এ যে ডলফিন! হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। একদিকে যখন ভারী বৃষ্টিতে কাবু এই জেলা, তখন ডলফিন বা গ্রাম বাংলায় যাকে বলে শুশুক, তাঁকে ঘিরে সকলের মনে একটু হলেও খুশি ভাব।
দামোদর নদে মিলল ডলফিন!
কয়েকদিন আগেই দামোদর থেকে ইলিশ মাছ জালে তুলতে পেরেছিলেন মৎস্যজীবীরা। তবে এবার জলে জাল ফেলতেই উঠে এল আস্ত শুশুক। এটিকে গ্যাঞ্জেটিক ডলফিন বলা হয়। বিশালাকাল ডলফিন দেখতে এলাকাবাসীর ভিড় উপচে পড়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় SIR হলে দফতর এই মুহূর্তে প্রস্তুত, কমিশনকে জানাল রাজ্যের CEO
জানা গিয়েছে, সাদিপুরের বাসিন্দা প্রশান্ত মাঝি ভালো মাছের আশায় রোজ সকালে দামোদর নদীতে মাছ ধরতে যান। বৃহস্পতিবারও সেটার ব্যতিক্রম ঘটে না। এদিন জলে জাল ফেলতেই চমকে ওঠেন। তার জালে ইলিশ বা অন্যান্য মাছ ওঠার বদলে আস্ত ডলফিন মাছ উঠে আসে। স্বাভাবিকভাবেই এহেন ঘটনা দেখে চমকে ওঠেন তিনি।
পূর্ব বর্ধমানে হৈচৈ
প্রশান্ত মাঝি বিচলিত না হয়ে সঙ্গে সঙ্গে ডলফিনটিকে আবার নদীতে ছেড়ে দেন। ততক্ষণে গোটা এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়েছে ডলফিনের। দামোদর নদীর ডলফিন দেখতে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ। স্থানীয় সূত্রে খবর, আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ কেজি ওজন হবে ডলফিনটির। এই বিষয়ে বৈদ্যনাথ মন্ডল জানান, ‘প্রতিদিন আমরা নদীতে মাছ ধরি, আমাদের প্রতিবেশী এক জেলে বন্ধু মাছ ধরতে গিয়েছিল। কাল রাতে জাল পেতে ছিল। আজ সকালে দেখে সেই জালটাই একটা ডলফিন মাছ আটকে রয়েছে। গ্রামে এসে আমাদের প্রতিবেশীদের ডেকে নিয়ে গেল, আমরা গিয়ে ডলফিন উদ্ধার করে মাঝ নদীতে ছেড়ে দিলাম।’