বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসে হামলা চালিয়েছিলেন 4 জন সশস্ত্র দুষ্কৃতি। এবার তাদেরকেই পাকড়াও করলো বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এবং মেঘালয় পুলিশ। NDTV-র রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার মেঘালয়ের সীমান্তবর্তী গ্রামে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছিলেন এই 4 বাংলাদেশীই।
যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার 4 বাংলাদেশী দুষ্কৃতি
রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার মেঘালয়ের সীমান্তবর্তী গ্রামে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর পর গা ঢাকা দেন ওই 4 বাংলাদেশী দুষ্কৃতি। এরপরই সীমান্ত রক্ষী বাহিনী এবং মেঘালয় পুলিশের যৌথ উদ্যোগে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। দীর্ঘক্ষণ খোঁজা খুঁজির পর শেষমেষ 4 বাংলাদেশিকে আটক করে BSF। ইতিমধ্যেই তাঁদের ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জানা যাচ্ছে, ওই বাংলাদেশী দুষ্কৃতীদের আটক করার পর জঙ্গলে বসেই তাঁদের জেরা করে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের জওয়ানরা। পরবর্তীতে তাঁদের রক্তাক্ত চেহারার ছবি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই হই হই পড়ে গিয়েছে। এদিকে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের হাত থেকে ইতিমধ্যেই ওই 4 বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে হেফাজতে রেখেছে মেঘালয় পুলিশ।
ধৃতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশী পুলিশ!
রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের তরফে যে 4 বাংলাদেশী দুষ্কৃতিকে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজনের কাছ থেকে নাকি বাংলাদেশ পুলিশের পরিচয় পত্র পাওয়া গিয়েছে। ওই পরিচয় পত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্যক্তির নাম মারুফুর রহমান। সে বাংলাদেশ পুলিশের একজন কনস্টেবল। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তির জন্ম সাল সহ পুলিশ আইডিও পাওয়া গিয়েছে ওই পরিচয় পত্রে।
অবশ্যই পড়ুন: ২৫ হাজারের বদলে মিনিটে বুক হবে ১ লক্ষ টিকিট! PRS সিস্টেম আপগ্রেড করতে চলছে রেল
উল্লেখ্য, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে বলসরাং এলাকায় মারাক নামক এক ভারতীয়র দোকান রয়েছে। শুক্রবার রাতে তিনি সেখানেই ঘুমাচ্ছিলেন। ওই ব্যক্তির দাবি, ঠিক সেই সময়ে 8 থেকে 9 জন বাংলাদেশী দুষ্কৃতি গ্রামে হামলা চালায়। তাঁদের প্রত্যেকের কাছেই ধারালো অস্ত্র ছিল।
এরপরই ওই দুষ্কৃতিরা তাঁকে অপহরণ করে বাংলাদেশের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন বলেই অভিযোগ। তবে কোনও মতে তাদের হাত থেকে পালিয়ে বেঁচেছেন তিনি। যদিও ওই ভারতীয়র দাবি, তাঁর ওপর গুলি চালানো হয়েছিল। আর সেই ঘটনার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ওই দুস্কৃতি গ্যাংয়ের 4 জনকে হাতেনাতে ধরে BSF। বাকিদের খোঁজ চলছে।