সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) ঘিরে ফের ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। শনিবার আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বছর পূর্তি ছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদে নির্যাতিতার বাবা ও মা নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। তবে নবান্ন অভিযান হবে আর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হবে না তা তো হতেই পারে না। এবারেও তাই হয়েছে। এবারের নবান্ন অভিযানে নতুন করে আক্রান্ত হলেন বহু পুলিশ কর্মী। তাঁদের রাস্তায় ফেলে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি।
নবান্ন অভিযানে আক্রান্ত পুলিশ
শনিবার আরজি কর হাসপাতালের মৃত চিকিৎসকের বিচারের দাবিতে পথে নামা শত শত বিক্ষোভকারীর উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই লাঠিচার্জের ফলে আক্রান্ত হন ‘অভয়া’-র বাবা ও মা বলে অভিযোগ। এমনকি নির্যাতিতার মায়ের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় এমনকি তার শাঁখা অবধি ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বহু পুলিশ কর্মীও বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ ‘সিরিয়াস ইনজুরি, ভোঁতা কিছু দিয়ে আঘাত!’ কেমন আছেন অভয়ার মা? জানালেন চিকিৎসক
শনিবার নবান্ন অভিযানের প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় নবান্নকে। বিক্ষোভকারীদের আটকাতে বদ্ধপরিকর ছিল পুলিশ। সেই মতো চারিদিকে ব্যারিকেড থেকে শুরু করে আরও নানা রকম সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর সেই ব্যারিকেড ভেঙে ফেলতে উদ্যত হয় বিক্ষোভকারীরা। আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগোনর চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। এদিন পার্কস্ট্রিটে বেশি ঝামেলা হয়।
নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার
দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নবান্নের দিকে এগোতে শুরু করেন। কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পরই তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। তাই পার্কস্ট্রিটেই অবস্থানে বসে পড়েন তিনি এবং বাকি বিজেপি নেতারা। এরপরই সামনে আসে পুলিশের আহত হওয়ার খবর। কলকাতা পুলিশের দাবি, ৫ পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন, এএসআই জগবন্ধু সাহু, কনস্টেবল নিমাই মণ্ডল ও একজন হোমগার্ড। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।