আয়ের থেকে ব্যয় বেশি! বাংলাদেশে বন্ধ হচ্ছে একাধিক স্থলবন্দর

Multiple Bangladesh land ports are being closed

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বিপদে বাংলাদেশের বাণিজ্য! ভারত বেঁকে বসার পর থেকেই স্থলপথে বাণিজ্য নিয়ে চাপে পড়েছিল ইউনূস সরকার। বিগত দিনগুলিতে
সেইসব সমস্যা নিয়েই চলতে হচ্ছিল ওপার বাংলার ব্যবসায়ীদের। শুধু তাই নয়, আমদানি-রপ্তানি না হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে পড়ে মার খাচ্ছিল ওপার বাংলার একাধিক স্থলবন্দর। এবার সেই সব অপ্রয়োজনীয় বন্দর বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ সরকার।

ওপার বাংলার সংবাদমাধ্যম বিডি প্রতিদিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত জানিয়েছেন, দেশে যেসব স্থলবন্দর দিয়ে তেমনভাবে আমদানি বা রপ্তানি হয় না এবং লোকসানে চলছে, এবার সেই সব বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের একাধিক স্থলবন্দর

গতকাল অর্থাৎ শনিবার সকালে বাংলাদেশের দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওপার বাংলার নৌ উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, মোট 24টি বন্দরের মধ্যে 8টি বন্দর বন্ধ রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। সেগুলির মধ্যে থেকে ইতিমধ্যেই 4টি বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

অবশ্যই পড়ুন: চোরা পথে ভারতে ঢুকে হামলা! BSF-র জালে ৪ সশস্ত্র বাংলাদেশি দুষ্কৃতি, উদ্ধার পুলিশের ID

বর্তমানে দেশের কার্যকর বন্দর 12 থেকে 14টি। এর বেশি নয়। আসলে বন্দরগুলি থেকে বছরে যেখানে মাত্র 10 থেকে 30 হাজার টাকা আয় হয়, সেখানে খরচ হয় এর চেয়ে অনেক বেশি। তাই সেই সব বন্দরের সংস্কার করে লাভ নেই। এরপরই বাংলাদেশের নৌ- উপদেষ্টা জানান, যে সব বন্দর আয় দিচ্ছে, সেই সব বড় বন্দরগুলিকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।

পাশাপাশি নদী বন্দরও বেসরকারি খাতে পরিচালনার জন্য দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বন্দর পরিদর্শনের আগে সভাকক্ষে কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছিলেন বাংলাদেশের নৌ উপদেষ্টা। আর সেখানেই নাকি ব্যবসায়ীরা বন্দরের রাস্তাঘাট সংস্কার, পরিকাঠামোর উন্নয়ন সহ বেশ কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলেন। সেই সাথে সমস্যার সমাধানও চাওয়া হয় নৌ উপদেষ্টার কাছে। আর তারপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কার্যত অকেজো বন্দরগুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জানান সাখাওয়াত।

Leave a Comment