সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: তিলোত্তমা কাণ্ডে বছর গড়িয়েছে। হ্যাঁ, গত বছর 9 আগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজে এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছিল। আর সেই কাণ্ডে সঞ্জয় রায় (Sanjay Roy) নামের এক সিভিক ভলেন্টিয়ার গ্রেপ্তার হয়েছিল, যাকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দন্ডিত করেছে। পাশাপাশি কলেজের অধ্যাপক সন্দীপ রায়ও এই চক্রে যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল।
বর্তমানে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন সঞ্জয় রায়। কিন্তু কেমন আছেন তিনি? কীভাবে তার জীবন অতিবাহিত হচ্ছে? হেতাল পারেখ কাণ্ডে ধনঞ্জয়ের বেলায় ঠিক কী হয়েছিল? সবটা জানিয়ে দেব আজকের এই প্রতিবেদনে।
জানুয়ারিতেই হয়েছিল সঞ্জয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
উল্লেখ্য, 2024 সালের 9 আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজের সেমিনার রুমে তরুণী শিক্ষককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনার মাত্র 24 ঘন্টার মধ্যেই সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে মামলার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে যায়। আর গত জানুয়ারি মাসেই তাকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করেছিল।
তবে আনন্দবাজারের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, সঞ্জয় রায় নাকি এখন জেলে খুব স্বাচ্ছন্দেই দিন কাটাচ্ছে। হ্যাঁ, তার ঘরে এসি আছে, টিভি আছে, খাওয়া-দাওয়াও রাজসিকভাবে করছে। এমনকি বর্তমানে জেলে বাগান পরিচর্যাও করে সে। প্রতিদিন সকালে প্রায় দুই ঘন্টা করে সে বাগানে সময় কাটায়, আর তার জন্য পারিশ্রমিকও পায় বলে জানা গিয়েছে। এমনকি এও জানা যাচ্ছে যে, সঞ্জয়কে বাকি কয়েদিরা নাকি ভয় পায়!
সম্প্রতি সঞ্জয় রায়ের আচরণে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। তবে তাঁর নৃশংস অপরাধের জন্য কোনোরকম অনুশোচনার প্রমাণ মেলেনি। আদালতের রায়ে ফাঁসির দাবি মানা না হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দণ্ডিত হয় ওই সিভিক। তবে জেলের মধ্যে বেশ আরামেই আছে সঞ্জয়।
ধনঞ্জয়ের বেলায় কী হয়েছিল?
তবে হেতাল পারেখ হত্যাকাণ্ডে ধনঞ্জয়ের কারাগারে অবস্থা কী হয়েছিল, তা খোলসা করলেন আনন্দবাজারের সাংবাদিক। হ্যাঁ, তিনি জানিয়েছেন জেলের ভিতরে নাকি তাকে বিবস্ত্র অবস্থাতেই রেখে দেওয়া হত। গায়ে কোনো পোশাক থাকত না। এমনকি খাওয়া-দাওয়াও খুব জঘন্য ভাবে দেওয়া হত। তাকে কারাবন্দি অবস্থায় প্রচুর অত্যাচার করা হত।
আরও পড়ুনঃ ভূপাতিত করা হয়েছে ৬টি পাক যুদ্ধবিমান! ৩ মাস পর পাকিস্তানের ক্ষয়ক্ষতির হিসেব দিল IAF
তিনি জানিয়েছেন, ধনঞ্জয়ের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তখন ও খুবই কষ্ট পেয়েছিল। জেলের মধ্যে পরিস্থিতি খুবই খারাপ ছিল। সেই সময় মানবাধিকার বলে কিছু ছিল না। তার শরীরে কোনো বস্ত্র ছিল না। আমি যখন জেল পরিদর্শন করি, তখন স্টাফদের বলেছিলাম যে, ওর শরীরে ছোট্ট একটি বস্ত্র দিতে হবে, যাতে ও লজ্জা বিবরণ করতে পারে। তবে সেই অনুযায়ী সঞ্জয় বেশ রাজার হালেই রয়েছে। ঘরে এসি, টিভি আছে। খাবার-দাবারও রাজার হালে পাচ্ছে। মনে হচ্ছে সরকার ওকে সাহায্য করতেই চাইছে।