সহেলি মিত্র, কলকাতা: টানা বৃষ্টির ফলে বিপর্যস্ত জনজীবন। শহর এলাকায় জীবনযাত্রা দ্রুত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলেও, গ্রামীণ এলাকায় ছবি অনেকটা ভিন্ন। সমস্যার মধ্যে দিনযাপন করছেন বলাগড় এলাকার মানুষজন। পুজোর ঠিক আগে ব্যবসায়ীরা যখন বাড়তি লাভের আশায় ঘর থেকে বের হন, বলাগড়ের ব্যবসায়ীদের তখন মাথায় হাত। বেড়ে গিয়েছে নদীর জলস্তর, বন্ধ করে হয়েছে নদী পারাপার হওয়ার সমস্ত মাধ্যম। চলছে না লঞ্চ, কিংবা ফেরি। এমতাবস্থায় ব্যবসা চালাবেন কি করে, এই ভেবে মাথায় হাত সেখানকার ব্যবসায়ীদের।
বিপদের আশঙ্কায় বন্ধ করা হল ফেরিঘাট
টানা বৃষ্টির ফলে উপচে পড়েছে ভাগীরথীর জল। নদী খাত ভরাট করে জল ছুটছে এলাকার রাস্তা দিয়ে। চেনা রাস্তায় হাঁটাও এখন দুষ্কর। তবুও পেটের টানে ঘর থেকে বাইরে বেরোচ্ছেন মানুষ। ব্যবসার কাজে অনেকেই বলাগড় থেকে শান্তিপুর ও শান্তিপুর থেকে বলাগড় যাতায়াত করেন। যাতায়াতের সবথেকে সুবিধা ও সাশ্রয়ী উপায় নদী পারাপার। কিন্তু ফেরি পরিষেবা বন্ধ থাকায় অনেকেই যেতে পারছেন না বড় বাজারে, যার ফলে পুজোর মুখে মার খাচ্ছে ব্যবস্থা। তার ওপর ভরা কোটাল।
নদীর জলস্তর কতটা বাড়বে সে ব্যাপারে নেই কোনো নিশ্চয়তা। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে জলযানের পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জলের স্তর যেমন বেড়েছে, তেমনই জলের টানও বেশি, দেখা দিয়েছে নদীর পার ভাঙনের সম্ভাবনা। এই পরিস্থিতিতে নদী পারাপার ডেকে আনতে পারে বিপদ। নোটিশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় বলাগড়ের গুপ্তিপাড়া ও বলাগড় সাহেবডাঙ্গার গুরুত্বপূর্ণ ফেরি ঘাট। ফেরি পরিষেবা আবার কবে চালু করা হবে সে ব্যাপারেও আপাতত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুনঃ ভয়ে ভয়ে চলে বাকিরা, জেলে ‘বহাল তবিয়তে’ সঞ্জয়! ঘরে রয়েছে AC, TV
হু হু করে বাড়ছে নদীর জলস্তর
নদীর জলস্তর আগামী দিনে কেমন থাকে সে দিকেই তাকিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকার বাসিন্দারা। কোটালের ফলে জলের স্তর আরো বাড়তে পারে, এই আশঙ্কাও রয়েছে। কোটালের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে এখনই জোর দিয়ে কিছু বলার উপায় নেই। গুপ্তিপাড়ার প্রাক্তন উপপ্রধান বিশ্বজিৎ নাথের প্রশাসনের প্রতি আবেদন, পরিস্থিতি বুঝে তবেই নেওয়া হোক পরবর্তী পদক্ষেপ। দরকারে পুলিশ, প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে আবার ফের ঘাট চালু করা হোক। দরকারে একটি মাত্র বড় স্টিমার চালানো হোক, নিশ্চিত করা হোক যাত্রীদের নিরাপত্তা, প্রয়োজনের সবাইকে দেওয়া হোক লাইফ জ্যাকেট।