প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ফের এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর উঠে এল শিরোনামে! ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার একটি বেসরকারি কলেজে, স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা কলেজচত্বরে। জানা গিয়েছে কলেজের ডাইভিং পুলের কাছ থেকে ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এদিকে গোটা ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন পরিবারের লোকেরা। ইতিমধ্যেই সমস্ত ফুটেজ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সাঁকরাইল থানার পুলিশ।
ঘটনাটি কী?
আনন্দ বাজারের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় দেড় মাস আগে হিমাচল প্রদেশ থেকে হাওড়ায় এসে এক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৬ মাসের জন্য মেরিন সংক্রান্ত কোর্সে ভর্তি হয়েছিল ২২ বছরের কপিল কুমার। কলেজের হস্টেলে থেকে সে পড়াশোনা করত। গত শনিবার, ৯ আগস্ট সকালে ক্লাসও করেছেন। কিন্তু বিকেলে তাঁকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না সহপাঠীরা। শেষে চারিদিকে খোঁজখবর নেওয়ার পর ডাইভিং পুলের কাছে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে পড়ুয়াকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের
পড়ুয়ার পরিবারের সদস্যরা ছেলের এই রহস্য মৃত্যুর জন্য দাবি করেছেন যে, ডাইভিং পুলের কাছে কীভাবে গেল? যদিও জলে পড়ে গেলে সেই নিজেকে ঠিক বাঁচিয়ে রাখত, কারণ কপিল সাঁতার জানতো। এদিকে পড়ুয়ার মাথায় ও ঘাড়ে রক্তের ছোপ দেখা গিয়েছে। কী ভাবে মৃত্যু হল ওই পড়ুয়ার, তা নিয়ে সন্দিহানে পরিবারের সদস্যরা। এমনকি তাঁদের অভিযোগ বিষয়টি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ একদমই কোনো সহযোগিতা করছেন না। গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও দেখাচ্ছে না কলেজ। কান্নায় ভেঙে পড়েছে কপিলের দিদি।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির পর এবার ভুয়ো থানা! যোগীরাজ্যে গ্রেফতার বিভাস অধিকারী সহ ৬
ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহ
মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ এদিকে উড়িয়ে দিয়ে কলেজের প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা আধিকারিক অনিন্দিতা চক্রবর্তী জানিয়েছেন যে, “আমরা পুলিশের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করছি। পুল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও কপিল কেন গেল বোঝা যাচ্ছে না। তদন্তের জন্য সিসিটিভি ফুটেজ-সহ সমস্ত তথ্য পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।” সাঁকরাইল থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃত পড়ুয়ার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে বিস্তারিত ঘটনাটি বলা যাবে বলে দাবি পুলিশের। এখন প্রশ্ন উঠছে যে, র্যাগিংয়ের শিকার হয়নি তো ঐ পড়ুয়া?