নজরে থাকবে চিন, পাকিস্তানের গতিবিধি! গুপ্তচর স্যাটেলাইট বানাবে DRDO

DRDO Will Lunch Elint satellite at the end of 2026

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: আরও আঁটসাঁট হচ্ছে দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা! ইন্ডিয়ান ডিফেন্স রিসার্চ উইংয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা এবার একটি অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক ইনটেলিজেন্স স্যাটেলাইট (ELINT) তৈরির পরিকল্পনা করছে।

যা মূলত, ভূ-স্থির কক্ষপথে স্থাপন করা হবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই স্যাটেলাইট শত্রুর সামরিক যোগাযোগ এবং রাডার সংকেত 24 ঘন্টা পর্যবেক্ষণ করবে। এই স্যাটেলাইট সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

কী এই ELINT স্যাটেলাইট?

প্রথমেই বলি, ELINT আসলে ইলেকট্রনিক ইনটেলিজেন্স। এটি এমন এক কৌশল যার দৌলতে শত্রুর ইলেকট্রনিক সংকেত, যেমন রাডার এবং রেডিও যোগাযোগ বিশ্লেষণ করা সম্ভব। এই মুহূর্তে ভারতের EMISAT এর মতো একটি স্যাটেলাইট রয়েছে, যা নিম্ন পৃথিবী কক্ষপথে অবস্থান করছে।

তবে বলে রাখি, এটি একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল অল্প সময়ের জন্য অতিক্রম করতে পারে। অন্যদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার হাতে তৈরি হতে যাওয়া স্যাটেলাইটট ভূস্থির কক্ষপথের উপগ্রহ যা পৃথিবীর একই অংশের উপর ক্রমাগত নজরদারি চালাতে সক্ষম ।

বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, এই স্যাটেলাইট পাকিস্তান, চিনের মতো শত্রুদের গতিবিধি ধরতে পারবে। এছাড়াও ইন্দ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এই স্যাটেলাইট ব্যবহার করেই শত্রুর গতিবিধি নজরে রাখবে ভারত। জানা গিয়েছে, এই স্যাটেলাইট অন্তত 36,000 কিলোমিটার উচ্চতায় থাকবে।

কীভাবে কাজ করবে এই সিস্টেম?

দ্য ইকোনমিক টাইমের রিপোর্ট অনুযায়ী, আসন্ন উপগ্রহটি ভারতীয় প্রতিরক্ষা ও গবেষণার সংস্থা দ্বারা তৈরি কৌটিল্য ELINT পেলোডের একটি উন্নত সংস্করণ দিয়ে সজ্জিত থাকবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এই এক স্যাটেলাইট শত্রুর রাডার, যোগাযোগ ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক নির্গমণ ট্রাক করে তাদের অবস্থান নির্ধারণ করতে পারবে।

পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে স্যাটেলাইট ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করবে এই সিস্টেম। যা প্রতিরক্ষা মহাকাশ সংস্থা এবং জাতীয় প্রযুক্তিগত গবেষণা সংস্থাকে তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকরী তথ্য সরবরাহ করবে। তবে প্রশ্ন থেকে যায় হঠাৎ কেন এই উপগ্রহের প্রয়োজন পড়ল? জানা যাচ্ছে, বিদেশি উপগ্রহের উপর নির্ভরতা কমাতে এবং মহাকাশে ভারতকে একটি শক্তিশালী নজরদারি শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতেই নতুন উপগ্রহটি তৈরির পথে DRDO।

অবশ্যই পড়ুন: দন্ডি কেটে আদিযোগী যাওয়ার পথে বর্ধমানে গ্রেফতার শিব ভক্ত দীপ! উঠল ভয়ঙ্কর অভিযোগ

উল্লেখ্য, 27,000 কোটি টাকা খরচ করে মহাকাশ ভিত্তিক নজরদারি কর্মসূচির অধীনে তৈরি হতে চলেছে এই নয়া উপগ্রহটি। ভারতীয় গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার লক্ষ্য 2030 সালের মধ্যে 52টি সামরিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ। জানা যাচ্ছে এই প্রকল্পে, DRDO এর সাথে Tata Advanced Systems Limited ও ISRO কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে কাজ করবে। রিপোর্ট বলছে, আগামী 2026 সালের শেষের দিকে এই কৃত্রিম উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হতে পারে।

Leave a Comment