ভোটার তালিকায় অসঙ্গতি? প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে FIR-র দাবি অভিষেকের!

Abhishek Banerjee

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: এইমুহুর্তে ভোটার তালিকা সংশোধন বা SIR ইস্যু নিয়ে বিরাট বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। যার ফলে গতকাল অর্থাৎ সোমবার, ভোট চুরির অভিযোগে দিল্লির রাজপথে নেমেছিল বিরোধীরা। নির্বাচন কমিশনের দফতর ঘেরাওয়ের কর্মসূচিতে একে একে জোটবদ্ধ হয়েছিলেন তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। কিন্তু বিরোধীদের সেই অভিযান মাঝপথেই আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ। শুরু হয় চরম ধস্তাধস্তি, অসুস্থ হয়ে পড়েন একাধিক সাংসদ। এমতাবস্থায় এই বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ইস্তফার দাবি অভিষেকের

ANI এর রিপোর্ট অনুযায়ী আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার, কলকাতা থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগ উঠলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, “ যদি নির্বাচন কমিশনের যুক্তি মেনে নেওয়া হয় যে ভোটার তালিকায় গরমিল রয়েছে, তাহলে গত বছরের লোকসভা ভোটও এই গরমিল ভোটার তালিকার ভিত্তিতেই হয়েছে। সেই ভোট থেকেই প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিল। তাহলে সেক্ষেত্রে গোটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভারই ইস্তফা দেওয়া উচিত।”

প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে FIR!

ভোটার তালিকার গরমিল প্রসঙ্গে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি অভিযোগ তোলেন তৎকালীন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে। FIR করা হোক। তাঁর বিরুদ্ধে শীঘ্রই ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিং’ শুরু করা হোক। পাশাপাশি FIR করা হোক। কারণ তাঁর তত্ত্বাবধানে এক বছর আগে যে সাধারণ নির্বাচন হয়েছে, সেখানে যদি সত্যিই গরমিল থাকে, ভুয়ো ভোটার থাকে, বাংলাদেশি থাকে, তবে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করা হোক। এর পরেই অভিষেক হুঁশিয়ারির সুরে জানান, যদি পশ্চিমবঙ্গ থেকে একজনও প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ যায়, তবে বিজেপি যে ভাষা বোঝে, সেই ভাষাতেই জবাব দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের মন্ত্রিসভায় বৈঠকের ডাক মমতার, আসতে পারে বড় খবর?

প্রসঙ্গত, গতকাল নির্বাচন কমিশনের দফতর ঘেরাও কর্মসূচির সময় দিল্লি পুলিশের এই অমানবিক অত্যাচারকে নিয়েও পাল্টা অভিযোগ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মহিলা সাংসদদের চুলের মুঠি ধরে আটক করা হয়েছে বলে দাবি তোলেন তিনি। তিনি জানান, সোমবার রাজ্যসভা এবং লোকসভা মিলিয়ে প্রায় ৩০০ জন সাংসদ ছিলেন ওই কর্মসূচিতে। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। সেক্ষেত্রে এই আচরণ জন্য ভাবেই মেনে নেওয়া কাম্য নয়।

Leave a Comment