দু মাসে দুবার আমেরিকা সফর! আসিম মুনিরকে নিয়ে কী করতে চাইছে ট্রাম্প?

Asim Munir

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: আন্তর্জাতিক কূটনীতির অঙ্গনে ফের আলোচনার শিরোনামে উঠে এসেছে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির (Asim Munir)। হ্যাঁ, অপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে তিনি। শুধু একবার নয়, বরং দু-দুবার আমেরিকা গিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান। আর এই সৌজন্যের আড়ালে রয়েছে কিছু কূটনৈতিক রহস্য, যা শুধু ভারতের উপরে বর্তাচ্ছে না, বরং চিন, রাশিয়া ও পাকিস্তানের উপরেও যাচ্ছে।

চিনকে ঘিরেই আমেরিকার কৌশল

পাকিস্তান যদি আসিম মুনিরের মাধ্যমে আমেরিকার ঘনিষ্ট হয়ে ওঠে, তাহলে তা চিনের জন্য হতে পারে বিরাট ধাক্কা। হ্যাঁ, দীর্ঘদিন ধরেই বেজিং ইসলামাবাদের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু। অর্থনীতি থেকে শুরু করে সামরিক সহযোগিতা, সব কিছুই কৌশলগত স্বার্থে এতদিন হয়ে আসছে তাদের মধ্যে। এমনকি 62 বিলিয়ন ডলারের বিশাল চায়না-পাকিস্তানি ইকোনমি করিডর নিয়েও আলাদা করে কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না।

হ্যাঁ, এটিই পশ্চিম চিনকে আরব সাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে পাকিস্তানের মাধ্যমে। উল্লেখ্য, পাকিস্তান সম্প্রতি অপারেশন সিঁদুরের সময় চায়না অস্ত্র ব্যবহার করেছিল ভারতের উপর আক্রমণ করার জন্য। ফলে ওয়াশিংটনের নতুন কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, ইসলামাবাদকে ধীরে ধীরে বেজিংয়ের প্রভাব থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। 

এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। এক কথায় শেহবাজ শরীফের উপর যেন সরাসরি বার্তা যাচ্ছে যে, ক্ষমতা আপনার উপরে থাকতেই পারে, তবে গণতন্ত্র না। এদিকে আসিম মুনির এই মর্যাদা পাওয়ার ফলে আরো বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছে। ফলত আমেরিকার মাটি থেকে ভারতকে পারমাণবিক হামলার হুমকি দিতেও তিনি পিছপা হচ্ছেন না।

রাশিয়াকে ঘিরে জল্পনা

এদিকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তান আর রাশিয়ার সম্পর্ক ক্রমশ ঘনিষ্ঠ হয়েছে। 2024 সালের অক্টোবর মাসে মস্কোয় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছিল পাকিস্তান রাশিয়া বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম। আর সেখানে শতাধিক রুশ কোম্পানি এবং 70 টিরও বেশি পাকিস্তানি ব্যবসায়ী যোগ দিয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ এক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সহ দুই ব্যাঙ্ককে শাস্তি দিল RBI!

উল্লেখ্য, একই মাসে ইসলামাবাদের সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন বৈঠকে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য, জ্বালানি ও সংযোগ খাতে সম্পর্ক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ট্রাম্পের মনিরের প্রতি এই আগ্রহ রাশিয়ার দিক থেকেও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ওয়াশিংটন পাকিস্তানকে নতুন হাতিয়ার বানাতেই চাইছে।

Leave a Comment