প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বছর ঘুরলেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তাই হাতে বাকি মাত্র আর কয়েক মাস। আরে কয়েক মাস কি কাজে লাগাতে এখনই ভোট প্রচারের ময়দানে নেমে পড়েছে একাধিক রাজনৈতিক দল। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে একের পর এক নয়া কর্মসূচির প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে আসছে রাজনৈতিক নেতারা। এমতাবস্থায় নির্বাচনের আগেই বড় ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। একধাক্কায় ৭টা রাজনৈতিক দলকে বাংলা থেকে বাতিল ঘোষণা করল কমিশন।
বাতিল ৭ টি রাজনৈতিক দল
নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের ৭ টা রাজনৈতিক দলকে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। যে ৭টি দলকে বাতিল করা হয়েছে সেগুলি হল অল ইন্ডিয়া তফসিলি ইউনাইটেড পার্টি, বঞ্চিত স্বরাজ পার্টি, বাংলা বিকাশবাদী কংগ্রেস, ভারতীয় নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি, ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট পার্টি, ইন্ডিয়ান ডেমোক্রেটিক কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান পিপলস ফরোয়ার্ড ব্লক। এছাড়াও বাংলার আরও ১২ টি রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্বাচন কমিশন শোকজ করেছে।
এদিকে জাতীয় নির্বাচন কমিশন এই ১২ টি রাজনৈতিক দলগুলিকে শোকজ করলেও তারা পুনরায় আবেদন জানাতে পারবে। তার জন্য আগে টানা ছয় বছর ধরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার যথাযোগ্য কারণ দলগুলোকে কমিশনের কাছে জানাতে হবে। এবং এর পাশাপাশি কমিশনকে এক মাসের মধ্যে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। তাতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের আগে এইরূপ কমিশনের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক মহলে বিতর্কের সূত্রপাত ঘটিয়েছে।
তুমুল চর্চা রাজনৈতিক মহলে
দল বাতিলের সিদ্ধান্তে জাতীয় নির্বাচন কমিশন কারণ হিসেবে জানিয়েছেন যে, এই দলগুলি নাকি গত ৬ বছর ভোটে লড়েনি। ফলে রাজনৈতিক আঙিনায় তাদের কোনও অস্তিত্ব নেই। যেহেতু এই রাজনৈতিক দলগুলির কোন কর্মকাণ্ড নেই তাই এই ৭টি দলকে বাতিল বলে ঘোষণা করা হল। অর্থাৎ আগামী নির্বাচনগুলোতে এই দলগুলি আর কোন প্রার্থী দিতে পারবে না। একদিকে ভোটার তালিকায় SIR তার উপর রাজনৈতিক দল বাতিলের এইরূপ সিদ্ধান্তে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
আরও পড়ুন: ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ ডেপুটি মেয়র ও তাঁর স্ত্রীর! ব্যাপক শোরগোল চন্দননগরে
উল্লেখ্য, দেশের এমন ৩৩৪টি রাজনৈতিক দলকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, ২০১৯ সালে থেকে গত ছ’বছরে একটি নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতার শর্তপূরণ করতে পারেনি ওই দলগুলি। তাই এই সিদ্ধান্ত। যে ৩৩৪টি রাজনৈতিক দলকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের দেশের কোথাও দলীয় কার্যালয় থাকা চলবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।